হাবীব বিন ‘আমরের নেতৃত্বে ১০ম হিজরীর শাওয়াল মাসে ৭ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলটি রাসূল (ছাঃ)-এর খিদমতে এসে ইসলাম কবুল করে। তারা প্রশ্ন করে, হে আল্লাহর রাসূল!أَىُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ ‘সর্বোত্তম আমল কোনটি? রাসূল (ছাঃ) বললেন,الصَّلاَةُ لِوَقْتِهَا ‘ওয়াক্ত মোতাবেক ছালাত আদায় করা’।[1]
তারা তাদের এলাকায় খরা ও অনাবৃষ্টির অভিযোগ করল এবং দো‘আর আবেদন করল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দো‘আ করে বললেন, ‘হে আল্লাহ! এদেরকে তাদের এলাকায় বৃষ্টি দ্বারা পরিতৃপ্ত কর’। দলনেতা হাবীব আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার হাত দু’খানা উঠিয়ে একটু দো‘আ করুন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুচকি হেসে হাত উঠিয়ে দো‘আ করলেন। প্রতিনিধি দল তিনদিন অবস্থান করে। তাদেরকে বহুমূল্য উপঢৌকনাদি দেওয়া হয়। অতঃপর তারা নিজ এলাকায় ফেরৎ গিয়ে দেখল যে, ঠিক যেদিন দো‘আ করা হয়েছিল, সেদিনই তাদের এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে’।[2]
[শিক্ষণীয় : অন্য হাদীছে এসেছে, খালেছ অন্তরে দো‘আ করলে তার জন্য আল্লাহ পাক তিনটি কল্যাণের যেকোন একটি দান করে থাকেন : (১) তার দো‘আ দ্রুত কবুল করেন অথবা (২) তার প্রতিদান আখেরাতের জন্য রেখে দেন অথবা (৩) তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূর করে দেন’।[3] অতএব নেককার মুমিনের খালেছ দো‘আ সর্বদা সকলের জন্য ফলপ্রদ।]
[2]. যাদুল মা‘আদ ৩/৫৮৫; আল-বিদায়াহ ৫/৮৯।
[3]. আহমাদ হা/১১১৪৯; হাকেম হা/১৮১৬; মিশকাত হা/২২৫৯, সনদ ছহীহ।