বাহরায়েন ও ক্বাতীফ এলাকায় বসবাসকারী বিখ্যাত রাবী‘আহ বিন নিযার(رَبِيعَةَ بْنِ نِزَارِ) গোত্রের নেতা ছিলেন আব্দুল ক্বায়েস। এই গোত্রের পরবর্তী নেতা মুনক্বিয বিন হাইয়ান(مُنقِذُ بن حَيَّان) ৫ম হিজরী বা তার আগে-পরে এক সময় ব্যবসা উপলক্ষ্যে মদীনায় এসে ইসলাম কবুল করেন। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) তার গোত্রের প্রতি ইসলাম কবুলের দাওয়াত দিয়ে তার মাধ্যমে একটি পত্র প্রেরণ করেন। পত্র পাঠ অন্তে তারা ইসলাম কবুল করে নিজ গোত্রের ১৩/১৪ জন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির একটি দল নিয়ে আল-আশাজ্জ আল-‘আছরীর(الأَشَجُّ العَصْرِيُّ) নেতৃত্বে মদীনায় আসেন। মদীনা এবং আব্দুল ক্বায়েস গোত্রের মাঝখানে শত্রুভাবাপন্ন ‘মুযার’ (مُضَر) গোত্র থাকায় তারা ‘হারাম’ মাসে মদীনায় আসেন এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদেরকে চারটি বিষয়ে নির্দেশ দেন ও চারটি বিষয়ে নিষেধ করেন, যার বিবরণ ছহীহ বুখারী সহ বিভিন্ন হাদীছ গ্রন্থে রয়েছে (মিশকাত হা/১৭)। এই সময় রাসূল (ছাঃ) তাদের দলনেতাকে বলেছিলেন,إِنَّ فِيْكَ خَصْلَتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللهُ الْحِلْمُ وَالْأَنَاةُ ‘তোমার মধ্যে দু’টি স্বভাব রয়েছে, যা আল্লাহ পসন্দ করেন, ধৈর্য ও দূরদর্শিতা’।
কোন কোন বিদ্বানের মতে উক্ত গোত্রের ৪০ জনের দ্বিতীয় দলটি আগমন করে ৯ম হিজরীতে। যাদের মধ্যে জারূদ বিন মু‘আল্লা আল-‘আবদী (جارُودُ بنُ بِشْرِ بْنِ الْمُعَلَّى الْعَبْدِىُّ) নামক জনৈক খ্রিষ্টান ছিলেন। যিনি ইসলাম কবুল করেন এবং তাঁর ইসলাম অত্যন্ত সুন্দর থাকে’।[1]
[শিক্ষণীয় : (১) জাহেলী আরবরা হারাম-এর চারটি মাসকে সম্মান করত। এ ঘটনায় তার প্রমাণ রয়েছে। (২) স্রেফ দাওয়াতের মাধ্যমেই এই বিখ্যাত গোত্রটি ইসলাম কবুল করে]