৬৫. সারিইয়া ইবনু আবিল ‘আওজা(سرية ابن أبي العوجاء) : ক্বাযা ওমরাহ থেকে ফিরেই ৭ম হিজরীর যিলহাজ্জ মাসে বনু সুলায়েম(بَنُو سُلَيْم) গোত্রকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য ৫০ জনের এই দলটিকে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা তাদের দাওয়াতকে অগ্রাহ্য করে বলে,لاَ حَاجَةَ لَنَا إِلَى مَا دَعَوْتُمْ ‘তোমরা যেদিকে আমাদের আহবান করছ, আমাদের তাতে কোন প্রয়োজন নেই’। অতঃপর তারা মুসলিম দাঈ দলটির বিরুদ্ধে ঘোরতর যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ত্বাবারী বলেন, সেনাপতি সহ মুসলিম পক্ষের সবাই শহীদ হন। তিনি বলেন, ওয়াক্বেদী ধারণা করেন যে, সবাই শহীদ হন। তবে সেনাপতি আহত অবস্থায় মদীনায় ফিরে আসতে সক্ষম হন। তারা ৮ম হিজরীর ১লা ছফর মদীনায় ফিরে আসেন।[1]
৬৬. সারিইয়া গালিব বিন আব্দুল্লাহ লায়ছী(سرية غالب بن عبد الله الليثي) : ৮ম হিজরীর ছফর মাস। ২০০ লোকের একটি সেনাদল নিয়ে তিনি ফাদাক অঞ্চলের বনু মুররাহ গোত্রের বিরুদ্ধে প্রেরিত হন বশীর বিন সা‘দের ৩০ জন সাথীর শাহাদাত স্থলে। যা ৭ম হিজরীর শা‘বান মাসে সংঘটিত হয়েছিল (ক্রমিক সংখ্যা ৬১ দ্রঃ)। শত্রুদের অনেকে নিহত হয় ও বহু গবাদিপশু হস্তগত হয় (আর-রাহীক্ব ৩৮৬ পৃঃ)।
৬৭. সারিইয়া যাতু আত্বলাহ(سرية ذات أطلح) : ৮ম হিজরীর রবীউল আউয়াল মাস। মুসলমানদের উপরে হামলা করার জন্য বনু কুযা‘আহ (بَنْو قُضَاعَة) বিরাট একটি দলকে একত্রিত করছে জানতে পেরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কা‘ব বিন ওমায়ের আনছারীর নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি সেনাদল সেখানে প্রেরণ করেন। তারা ‘যাতু আত্বলাহ’(ذَاتُ أَطْلَح) নামক স্থানে শত্রুদের মুখোমুখি হন। তাঁরা প্রথমে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেন। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। যাতে সকল ছাহাবীকে তীর দিয়ে ছিদ্র করে করে মর্মান্তিকভাবে শহীদ করা হয়। যাদের মধ্যে একজন মাত্র কোনভাবে বেঁচে যান (আর-রাহীক্ব ৩৮৬ পৃঃ)।
৬৮. সারিইয়া যাতু ইরক্ব(سرية ذات عرق) : ৮ম হিজরীর রবীউল আউয়াল মাস। বনু হাওয়াযেন গোত্র বারবার শত্রুদের সাহায্য করে যাচ্ছিল। ফলে তাদের দমনের জন্য শুজা‘ বিন ওয়াহাব আল-আসাদীর নেতৃত্বে ২৫ জনের একটি সেনাদল উক্ত গোত্রের যাতু ইরক্ব(ذَاتُ عِرْق) নামক স্থানে প্রেরিত হয়। যুদ্ধ হয়নি। তবে কিছু গবাদিপশু হস্তগত হয় (আর-রাহীক্ব ৩৮৬ পৃঃ)। যাতু ইরক্ব হ’ল ইরাকবাসীদের জন্য হজ্জের মীক্বাত। যা মক্কা থেকে উত্তরে ৯৪ কি. মি. দূরে অবস্থিত।
মানছূরপুরী তাঁর প্রদত্ত যুদ্ধ তালিকায় এখানে মুসলিম পক্ষে ১ জন আহত ও ৪৯ জন শহীদ বলেছেন’ (রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ২/১৯৮)।