উত্তর: এমন সংগঠন বা দা‘ওয়াতী কাজের এমন পদ্ধতির কোনো শরঈ ভিত্তি আছে বলে আমার জানা নেই। প্রশ্নে ইমারত বা নেতৃত্বের যে কথাটি বলা হয়েছে, তা শুধুমাত্র মুসলিম সরকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; সৎকাজে যার অনুসরণ করতে হবে, অসৎকাজে নয়। কোনো দল কর্তৃক কাউকে আমীর বানিয়ে তার অনুসরণ করা মারাত্মক ভুল। কাউকে সৎকাজে ছাড়া অনুসরণ করা যাবে না। কোনো বিষয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে বিবাদীয় বিষয় কুরআন ও সুন্নাহ্র দিকে ফিরিয়ে দিতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ ﴾ [النساء: ٥٩]
‘অতঃপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও, যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক’ (আন-নিসা ৫৯)। সুতরাং বিভিন্ন জামা‘আত ও মাযহাবের অনুসারীদের উচিৎ বিবাদীয় যে কোনো বিষয়কে কুরআন ও সুন্নাহ্র দিকে ফিরিয়ে দেওয়া। কারো জন্য বৈধ নয় যে, সে কাউকে ফায়ছালাকারী নিযুক্ত করে হক-বাতিল সবকিছুতে তার অনুসরণ করে চলবে; বরং কুরআন ও সুন্নাহকে চূড়ান্ত ফায়ছালাকারী হিসাবে গ্রহণ করতে হবে।([1])