১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন
يَعْرِفُونَ نِعْمَةَ اللَّهِ ثُمَّ يُنْكِرُونَهَا وَأَكْثَرُهُمُ الْكَافِرُونَ ﴿النحل:83﴾
‘‘তারা আল্লাহর নেয়ামত চিনে, অতঃপর তা অস্বীকার করে।’’ (নাহল : ৮৩)
এর মর্মার্থ বুঝাতে মুজাহিদ বলেন, এর অর্থ হচ্ছে, কোন মানুষের এ কথা বলা ‘এ সম্পদ আমার, যা আমার পূর্ব পুরুষ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি।’ আ’উন ইবনে আবদিল্লাহ বলেন, ‘এর অর্থ হচ্ছে, কোন ব্যক্তির এ কথা বলা, ‘অমুক ব্যক্তি না হলে এমনটি হতোনা।’ ইবনে কুতাইবা এর ব্যাখ্যায় বলেন, ‘মুশরিকরা বলে, ‘‘এটা হয়েছে আমাদের ইলাহদের সুপারিশের বদৌলতে।’’
আবু আববাস যায়েদ ইবনে খালেদের হাদীসে- যাতে একথা আছে, ‘আল্লাহ তা’আলা বলেন,
أصبح من عبادى مؤمن بى وكافر
‘‘আমার কোন বান্দার ভোরে নিদ্রা ভঙ্গ হয় মোমিন অবস্থায়, আবার কারো ভোর হয় কাফির অবস্থায়’’- উল্লেখ করে বলেন, এ ধরনের অনেক বক্তব্য কুরআন ও সুন্নায় উলেখ করা হয়েছে। যে ব্যক্তি নেয়ামত দানের বিষয়টি গাইরুলাহর সাথে সম্পৃক্ত করে এবং আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করে, আল্লাহ তার নিন্দা করেন।
উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় কোন কোন সালাফে- সালেহীন বলেন, বিষয়টি মুশরিকদের এ কথার মতোই, ‘অঘটন থেকে বাঁচার কারণ হচ্ছে অনুকুল বাতাস, আর মাঝির বিচক্ষণতা’ এ ধরনের আরো অনেক কথা রয়েছে যা সাধারণ মানুষেরমুখে বহুল প্রচলিত।
এ অধ্যায় থেকে নিম্ন বর্ণিত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ
১। নেয়ামত সংক্রান্ত জ্ঞান এবং তা অস্বীকার করার ব্যাখ্যা।
২। জেনে- শুনে আল্লাহর নেয়ামত অস্বীকারের বিষয়টি মানুষের মুখে বহুল প্রচলিত।
৩। মানুষের মুখে বহুল পরিচলিত এসব কথা আল্লাহর নেয়ামত অস্বীকার করারই শামিল।
৪। অন্তরে দুটি বিপরীতধর্মী বিষয়ের সমাবেশ।