১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,
وَهُمْ يَكْفُرُونَ بِالرَّحْمَنِ (ألرعد: 30)
‘‘এবং তারা রহমান [আল্লাহর গুণবাচক নাম] কে অস্বীকার করে।’’ (রা’দ: ৩০)
২। সহীহ বুখারীতে বর্ণিত একটি হাদীসে আলী রা. বলেন,
حدثوا الناس بما يعرفون أتريدون أن يكذب الله ورسوله
‘‘লোকদেরকে এমন কথা বলো, যা দ্বারা তারা [আল্লাহ ও রাসূল সম্পর্কে সঠিক কথা জানতে পারে। তোমরা কি চাও যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হোক?’’
৩। ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, আল্লাহর গুণাবলী সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম থেকে একটি হাদীস শুনে এক ব্যক্তি আল্লাহর গুণকে অস্বীকার করার জন্য একদম ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলো তখন
তিনি বললেন, এরা এ উভয়ের মধ্যে পার্থক্য কি করে করলো? তারা মুহকামের [বা সুস্পষ্ট] আয়াত ও হাদিসের ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখালো, আর মুতাশাবাহ [অস্পষ্ট আয়াত ও হাদিসের ক্ষেত্রে ] ধ্বংসাত্মক পথ অবলম্বন করলো?’’
কুরাইশরা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম এর কাছে [আল্লাহর গুণবাচক নাম] ‘রাহমানের] উল্যেখ করতে শুনতে পেলো, তখন তারা ‘রাহমান’ গুণটিকে অস্বীকার করলো এ প্রসঙ্গেই وهم يكفرون بالرحمن আয়াতটি নাযিল হয়েছে।
এ অধ্যায় থেকেনিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় .
১& আল্লাহর কোন নাম ও গুণ অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে ঈমান না থাকা।
২। সূরা রাদের وهم يكفرون بالرحمن এর তাফসীর।
৩। যে কথা শ্রোতার বোধগম্য নয়, তা পরিহার করা।
৪। অস্বীকারকারীর অনিচ্ছা সত্তেও যেসব কথা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার দিকে নিয়ে যায়, এর কারণ কি? তার উল্লেখ।
৫। ইবনে আববাস (রা.) এর বক্তব্য হচ্ছে, আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর কোন একটি অস্বীকারকারীর ধ্বংস অনিবার্য।