১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,
وَمَنْ يُؤْمِنْ بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ. (التغابن:১১)
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ঈমান আনে, তার অন্তরকে তিনি হেদায়াত দান করেন।’’ (তাগাবুনঃ ১১)
২। আলকামা (রাঃ) বলেছেন, ঐ ব্যক্তিই মোমিন, যে ব্যক্তি বিপদ আসলে মনে করে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। এর ফলে সে বিপদগ্রস্থ হয়েও সন্তুষ্ট থাকে এবং বিপদকে খুব সহজেই স্বীকার করে নেয়।
৩। সহীহ মুসলিমে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন,
‘‘মানুষের মধ্যে এমন দু’টি [খারাপ] স্বভাব রয়েছে যার দ্বারা তাদের কুফরী প্রকাশ পায়। একটি হচ্ছে, বংশ উল্লেখ করে খোটা দেয়া, আর একটি হচ্ছে মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করা।’’
৪। ইমাম বুখারি ও মুসলিম ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে মারফু হাদীসে বর্ণনা করেন,
إذا أراد الله بعبده الخير عجل له العقوبة فى الدنيا وإذا أراد بعبده الشر أمسك عنه بذنبـــه حتى يوافى به يوم القيامة
‘‘আল্লাহ তা’আলা যখন তাঁর কোন বান্দার মঙ্গল করতে চান, তখন তাড়াতাড়ি করে দুনিয়াতেই তার [অপরাধের] শাস্তি দিয়ে থাকেন। পক্ষান্তরে তিনি যখন তাঁর কোন বান্দার অমঙ্গল করতে চান, তখন দুনিয়াতে তার পাপের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকনে, যেন কেয়ামতের দিন তাকে পুরো শাস্তি দিতে পারেন।
৫। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন,
إن عظم الجزاء مع عظم البلاء
‘‘পরীক্ষা যত কঠিন হয়, পুরস্কার তত বড় হয়।’’ আল্লাহ তা’আলা যখন কোন জাতিকে ভালবাসেন, তখন সে জাতিকে তিনি পরীক্ষা করেন। এতে যে ব্যক্তি সন্তুষ্টি থাকে, তার উপর আল্লাহ ও সন্তুষ্ট থাকেন। আর যে ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হয়, তার প্রতি আল্লাহও অসন্তুষ্ট থাকেন। (তিরমিজি)
এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় .
১। সূরা তাগাবুন এর ১১ নং আয়াতের তাফসীর।
২। বিপদে ধৈর্য ধারণ ও আল্লাহর ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ঈমানের অঙ্গ।
৩। কারো বংশের প্রতি অপবাদ দেয়া বা দুর্নাম করা কুফরীর শামিল।
৪। যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে, গাল- চাপড়ায়, জামার আস্তিন ছিঁড়ে ফেলে এবং জাহেলী যুগের কোন রীতি নীতির প্রতি আহবান জানায়, তার প্রতি কঠোর শাস্তির ভয় প্রদর্শন।
৫। বান্দার মঙ্গলের প্রতি আল্লাহর ইচ্ছার নিদর্শন।
৬। বান্দার প্রতি আল্লাহর অমঙ্গলেচ্ছার নিদর্শন।
৭। বান্দার প্রতি আল্লাহর ভালবাসার নিদর্শন।
৮। আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া হারাম।
৯। বিপদে আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকার সওয়াব।