এ জাতীয় আরেকটি জাল ও বাতিল কথা হলো:
عَلْمُ الْبَاطِنِ سِرٌّ مِنْ أَسْرَارِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَحُكْمٌ مِنْ أَحْكاَمِ اللهِ، يَقْذِفُهُ فِيْ قُلُوْبِ مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ.
‘‘বাতিনের ইল্ম আল্লাহর গুপ্ত রহস্যগুলোর একটি এবং আল্লাহর বিধানাবলির একটি। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার অন্তরে চান তা নিক্ষেপ করেন।’’
এ বাতিল কথাটি কেউ কেউ অন্যভাবে বলেছেন:
عِلْمُ الْبَاطِنِ سِرٌّ مِنْ سِرِّيْ أَجْعَلُهُ فِيْ قَلْبِ عِبَادِيْ وَلاَ يَقِفُ عَلَيْهِ أَحَدٌ غَيْرِيْ
‘‘বাতিনের ইল্ম আমার গুপ্ত রহস্যসমূহের একটি আমি আমার বান্দাদের অন্তরে স্থাপন করি। আর আমি ছাড়া কেউ তা জানে না।’’[1]
হাদীসটির একটি সনদ আছে। সনদটি অজ্ঞাত পরিচয় রাবীগণের সমষ্টি। আল্লামা যাহাবী, সুয়ূতী, ইবনু আর্রাক প্রমুখ হাদীসটিকে জাল বলে উল্লেখ করেছেন। তবে মজার ব্যাপার হলো, আল্লামা সুয়ূতী নিজে হাদীসটিকে জাল হিসাবে চিহ্নিত করে তার ‘যাইলুল লাআলী’ গ্রন্থে সংকলন করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর ‘আল-জামিউস সাগীর’ গ্রন্থে হাদীসটি ‘যয়ীফ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ তিনি দাবি করেছেন যে, ‘জামি সাগীর’ পুস্তকে তিনি কোনো জাল হাদীস উল্লেখ করবেন না। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, সকল প্রাজ্ঞ আলেমেরই ভুল হতে পারে এবং কারো কথাই নির্বিচারে গ্রহণ করা যায় না।[2]
[2] দাইলামী, আল-ফিরদাউস ৩/৪২; ইবনুল জাওযী, আল-ইলালুল মুতানাহিয়া ১/৮৩; সুয়ূতী, যাইলুল লাআলী, পৃ. ৪৪; আল-জামি আস-সাগীর ২/১৬০; ইবনু আর্রাক, তানযীহ ১/২৮০; আলবানী, যায়ীফুল জামি, পৃ. ৫৪৫; যায়ীফাহ ৩/৩৭১।