অতঃপর তারা যখন বাদশাহর কাছ থেকে নিরাশ হয়ে গেল, তখন পরামর্শের জন্য সকলে একান্তে বসল। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন,
فَلَمَّا اسْتَيْأَسُواْ مِنْهُ خَلَصُواْ نَجِيّاً قَالَ كَبِيْرُهُمْ أَلَمْ تَعْلَمُواْ أَنَّ أَبَاكُمْ قَدْ أَخَذَ عَلَيْكُم مَّوْثِقاً مِّنَ اللّهِ وَمِن قَبْلُ مَا فَرَّطتُمْ فِي يُوسُفَ فَلَنْ أَبْرَحَ الأَرْضَ حَتَّىَ يَأْذَنَ لِي أَبِي أَوْ يَحْكُمَ الله ُلِي وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ، ارْجِعُواْ إِلَى أَبِيكُمْ فَقُولُواْ يَا أَبَانَا إِنَّ ابْنَكَ سَرَقَ وَمَا شَهِدْنَا إِلاَّ بِمَا عَلِمْنَا وَمَا كُنَّا لِلْغَيْبِ حَافِظِيْنَ- (يوسف ৮০ -৮১)-
‘অতঃপর যখন তারা তার (বাদশাহর) কাছ থেকে নিরাশ হয়ে গেল, তখন তারা একান্তে পরামর্শে বসল। তখন তাদের বড় ভাই বলল, তোমরা কি জানো না যে, পিতা তোমাদের কাছ থেকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার নিয়েছেন এবং ইতিপূর্বে ইউসুফের ব্যাপারেও তোমরা অন্যায় করেছ? অতএব আমি কিছুতেই এদেশ ত্যাগ করব না, যে পর্যন্ত না পিতা আমাকে আদেশ দেনঅথবা আল্লাহ আমার কোন ফায়ছালা করেন। তিনিই সর্বোত্তম ফায়ছালাকারী’। ‘তোমরা তোমাদের পিতার কাছে ফিরে যাও এবং বল, হে পিতা! আপনার ছেলে চুরি করেছে। আমরা যা জানি, কেবল তারই সাক্ষ্য দিলাম এবং কোন অদৃশ্য বিষয়ে আমরা হেফাযতকারী ছিলাম না’ (ইউসুফ ১২/৮০-৮১)।
অর্থাৎ বেনিয়ামীনকে হেফাযতের অঙ্গীকার বাহ্যিক অবস্থা পর্যন্ত সম্ভবপর ছিল। কিন্তু আমাদের দৃষ্টির আড়ালে সে কিছু করে থাকলে তাতে আমাদের কিছুই করার ছিল না। অতঃপর তারা কেন‘আনে ফিরে এল এবং পিতাকে সব কথা খুলে বলল।