ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল সপ্তদশ অধ্যায়- সুন্নত ও নফল রোযা আবদুল হামীদ ফাইযী
৯। দাঊদী রোযা

যার সামর্থ্য আছে তার জন্য একদিন রোযা থাকা ও তার পরের দিন রোযা না থাকা; ভিন্ন কথায় একদিন পরপর রোযা রাখা মুস্তাহাব। আব্দুল্লাহ বিন আম্র বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় রোযা হল দাঊদ (আঃ) -এর রোযা। আর আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় নামায হল দাঊদ (আঃ) -এর নামায। তিনি অর্ধ রাত্রি ঘুমাতেন। অতঃপর তৃতীয় প্রহরে নামায পড়ে পুনরায় ষষ্ঠভাগে ঘুমাতেন, আর তিনি একদিন পানাহার করতেন ও পরদিন রোযা রাখতেন।’’[1]

পরন্তু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ইবনে আম্রকে বলেছেন, ‘‘তুমি একদিন রোযা থাক এবং একদিন পানাহার কর। এটাই হল দাঊদ u-এর রোযা; যা সর্বশ্রেষ্ঠ রোযা।’’ ইবনে আমর বললেন, ‘কিন্তু আমি তার থেকেও উত্তম (প্রত্যেক দিন রোযা রাখতে) পারি।’ তা শুনে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘(আমি যা বললাম) তার চাইতে উত্তম কিছুই নেই।’’[2] অন্য এক বর্ণনায় আছে, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাঁকে বললেন, ‘‘দাঊদ (আঃ) -এর রোযার উপর কোন রোযা নেই। অর্ধ বছর রোযা; একদিন রোযা রাখ এবং তার পরের দিন পানাহার কর।’’[3]

বলা বাহুল্য, এ রোযা সামর্থ্যের সাথে সম্পর্ক রাখে। অতএব শর্ত হল, যেন এ রোযা রাখতে গিয়ে সবাস্থ্য এমন দুর্বল না হয়ে যায়, যাতে নফল রোযা থেকে উত্তম বা গুরুত্বপূর্ণ আমল পালনে ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। যেমন, আল্লাহর অন্যান্য হক এবং বান্দার যাবতীয় অধিকার আদায়ে যেন কোন প্রকার ত্রুটি প্রকাশ না পায়। নচেৎ, তা বর্জন করাই উত্তম।[4]

[1] (বুখারী১১৩১, মুসলিম ১১৫৯নং, আবূ দাঊদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)

[2] (বুখারী ১৯৭৬নং)

[3] (ঐ ১৯৮০নং)

[4] (দ্রঃ আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪৭৪, আহকামুস সাওমি অল-ই’তিকাফ, আবূ সারী মঃ আব্দুল হাদী ১৭৬পৃঃ)