কিছু সংখ্যক উলামার মত এই যে, যে ব্যক্তি বিনা ওযরে ইচ্ছাকৃত রমাযানের রোযা ত্যাগ করবে, সে ব্যক্তির পাপ হবে মহাপাপ (কাবীরা)। তাকে সে রোযা কাযা করতে হবে এবং ঐ অপরাধের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। বেশী বেশী করে নফল রোযা ও অন্যান্য ইবাদত করতে হবে, যাতে ফরয ইবাদতের ঐ ক্ষতিপূরণ সম্ভব হয়। আর সম্ভবতঃ আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করে তাকে ক্ষমা করে দেবেন।[1]
উক্ত অভিমত সেই রমাযানের দিনের বেলায় স্ত্রী-সঙ্গমকারীর হাদীসকে ভিত্তি করে প্রকাশ করা হয়েছে; যাতে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাকে ঐ দিনকে কাযা করতে আদেশ করে বলেছিলেন, ‘‘একদিন রোযা রাখ এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।’’[2]
এ ছাড়া তিনি বলেছেন, ‘‘রোযা অবস্থায় যে ব্যক্তি বমনকে দমন করতে সক্ষম হয় না, তার জন্য কাযা নেই। পক্ষান্তরে যে ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে, সে যেন ঐ রোযা কাযা করে।’’[3]
অন্য কিছু সংখ্যক উলামা বলেন যে, বিনা ওযরে ইচ্ছাকৃত নামায-রোযা ত্যাগকারীর কোন কাযা নেই। আর না-ই তার তা শুদ্ধ হবে। অবশ্য যা কাযা করার ব্যাপারে দলীল আছে তার কথা সবতন্ত্র। যেমন রোযা রেখে ইচ্ছাকৃত স্ত্রী-সঙ্গমকারী এবং বমনকারী ব্যক্তি দলীলের ভিত্তিতে রোযা কাযা করবে।[4]
পক্ষান্তরে যে ইচ্ছাকৃতভাবে মোটেই রোযা রাখে না সে ব্যক্তি কিছু উলামার মতে কাফের ও মুর্তাদ হয়ে যাবে। তার জন্য তওবা জরুরী এবং বেশী বেশী নফল ইবাদত করা উচিত। যেমন জরুরী দ্বীনের সকল বিধানকে ঘাড় পেতে মান্য করা। আর উলামাদের সঠিক মতানুসারে তার জন্য কাযা নেই। যেহেতু তার অপরাধ বড় যে, কাযা করে তার খন্ডন হবে না।[5]
[2] (আবু দাউদ ২৩৯৩, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ১৯৫৪, দারাকুত্বনী, বাইহাকী ৪/২২৬-২২৭, ইরওয়াউল গালীল ৯৪০নং)
[3] (আহমাদ ২/৪৯৮, আবু দাউদ ২৩৮০, তিরমিযী ৭১৬, ইবনে মাজাহ ১৬৭৬, দারেমী ১৬৮০, ইবনে খুযাইমাহ ১৯৬০, ইবনে হিববান,সহীহ, মাওয়ারিদ ৯০৭নং, হাঃ ১/৪২৭, দারাকুত্বনী, বাইহাকী ৪/২১৯ প্রমুখ, ইরওয়াউল গালীল ৯৩০, সহীহুল জামেইস সাগীর ৬২৪৩নং)
[4] (তামামুল মিন্নাহ, আল্লামা আলবানী ৪২৫-৪২৬পৃঃ)
[5] (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১৫৪, ফাসিঃ মুসনিদ ৮৪পৃঃ)