শায়খ ইবনে উষাইমীন (রঃ) বলেন, নামাযের ভিতরে কুরআন-খতমের পর দুআ করার সপক্ষে রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নাহ থেকে অথবা সাহাবাদের আমল থেকে নির্ভরযোগ্য কোন সহীহ ভিত্তি নেই। এই দুআর সপক্ষে একমাত্র দলীল হল আনাসের আমল; তিনি কুরআন খতম করার সময় নিজের পরিবারের লোকদেরকে সমবেত করে দুআ করতেন।[1] কিন্তু তিনি নামাযে এমন করতেন না।
আর বিদিত যে, নামাযের যে স্থানে দুআ করার ব্যাপারে কোন সুন্নাহ বর্ণিত হয়নি, সে স্থানে দুআ (আবিষ্কার) করা বৈধ নয়। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তোমরা সেই মত নামায পড়, যে মত আমাকে পড়তে দেখেছ।’’[2]
কিন্তু নামাযে কুরআন খতমের দুআকে বিদআত আখ্যায়ন দেওয়া আমার কাছে পছন্দনীয় নয়। কেননা উলামাদের তাতে মতভেদ রয়েছে। অতএব এ ব্যাপারে এত বড় কটুক্তি করা আমাদের উচিৎ নয়, যেখানে কিছু উলামা সে কাজকে মুস্তাহাব মনে করেছেন।([3]) অবশ্য মুসলিমের উচিৎ, সুন্নাহর অনুসরণে শত যত্নবান হওয়া।[4]
বলা বাহুল্য, এ কাজকে অনেক উলামা পরিষ্কারভাবে বিদআত বলেই অভিহিত করেছেন।[5]
যেমন কুরআন খতমের কোন নির্দিষ্ট দুআও সুন্নাহতে বর্ণিত হয়নি।[6] আর কুরআন মাজীদের শেষের দিকে ‘দুআ-এ খাতমুল কুরআন’ নামক শীর্ষে যে লম্বা দুআ লিখা থাকে, তা মনগড়া।
[2] (আহমাদ, মুসনাদ ৫/৫২, বুখারী ৬৩০নং, দারেমী)
[3] এ ব্যাপারে ইবনে বাযের অভিমত সালাতুল-লাইল ওয়াত তারাবীহ ২৮-৩১পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।
[4] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/৫৭, সামানিয়া ওয়া আরবাঊন সুআলান ফিস্-সিয়াম ৫৮পৃঃ)
[5] (দ্রঃ মু’জামুল বিদা’ ৩২০পৃঃ)
[6] (সালাতুল-লাইলি অত্-তারাবীহ, ইবনে বায ৩২পৃঃ)