আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-
وَإِمَّا تَخَافَنَّ مِنْ قَوْمٍ خِيَانَةً فَانْبِذْ إِلَيْهِمْ عَلَى سَوَاءٍ إِنَّ اللهَ لا يُحِبُّ الْخَائِنِينَ
‘‘আর যদি কখনও কোন সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে খেয়ানতের আশঙ্কা থাকে তাহলে তাদের চুক্তি তাদের দিকেই ছুuঁড় ফেলে দাও, যাতে তারা এবং তোমরা সমান হয়ে যাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পছন্দ করেন না খেয়ানতকারীদেরকে’’।[1] নাবী (ﷺ) বলেন- যার মধ্যে এবং অন্য কোন গোত্রের মধ্যে কোন চুক্তি রয়েছে, সে যেন চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ার পূর্বে কিংবা তাদেরকে না জানিয়ে সেই চুক্তির কোন অংশ ভঙ্গ না করে এবং সেই চুক্তিকে পরিবর্তনও না করে।[2] নাবী (ﷺ) হতে সহীহ সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন-
الْمُسْلِمُونَ تَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ يَسْعَى بِذِمَّتِهِمْ أَدْنَاهُمْ
‘‘সকল মুসলিমের রক্তের মূল্য সমান। মুসলমানদের সবচেয়ে কম মর্যাদাবান লোকও যদি কোন ব্যক্তিকে (অমুসলিমকে) নিরাপত্তা প্রদান করে, তাহলে সকল মুসলিমের উপর সেই নিরাপত্তাপ্রাপ্ত লোকের রক্ত হারাম’’।[3] নাবী (ﷺ) থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি ঐ দুই ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন, যাদেরকে তাঁর চাচাতো বোন উম্মে হানী বিনতে আবু তালিব নিরাপত্তা দিয়েছিলেন। রসূল (ﷺ) থেকে সহীহ সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁর কন্যা যায়নাব যখন আবুল আসকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন, তখন তিনি সেই নিরাপত্তা দানকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি বলেন-
وَيُجِيرُ عَلَى المسلمين أدناهم و يُرَدُّ عَلَيهم أَقْصَاهُمْ
‘‘মুসলিমদের ক্ষুদ্রতম ব্যক্তির আশ্রয় দানও সকলের উপর কার্যকর হবে এবং তাদের দূরতম ব্যক্তি তাদের অংশীদার হবে’’।[4]
উপরের তিনটি বিষয়ের সাথে আরেকটি বিষয় হল, মুসলমানদের সকলেই শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং এ ক্ষেত্রে তারা সকলে মিলে একই দেহের ন্যায় হবে । চতুর্থ মাসআলাটি থেকে জানা যাচ্ছে যে, কাফেরদেরকে কোন প্রকার কর্তৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গিকার দেয়া যাবেনা। আর নাবী (ﷺ)-এর বাণীঃ তাদের দূরতম ব্যক্তি তাদের অংশীদার হবে-এর অর্থ হচ্ছে, মুসলমানদের কোন মুজাহিদ বাহিনী যদি তাদের ক্ষমতা ও শক্তি বলে কোন দেশ বা অঞ্চল জয় করে গণীমত অর্জন করতে সক্ষম হয়, তাদের থেকে দূরে অবস্থানকারী সৈন্যরাও অংশ পাবে। কেননা তাতে কোন না কোন ভাবে তাদেরও ত্যাগ ও শ্রম রয়েছে। এমনি ফাঈ (বিনা যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ) থেকে যা কিছু এসে বাইতুল মালে জমা হবে, তাদের দূরের ও কাছের সকল সৈনিকদেরই অংশ রয়েছে। যদিও তা কাছের লোকদের প্রচেষ্টার ফলেই অর্জিত হয়েছে।
[2]. আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ। ইমাম আলবানী রহঃ) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন,সিলসিলাহ সহীহা, হা/২৩৫৭
[3]. আবু দাউদ, আলএ. হা/২৭৫১
[4] . সহীহ ইবনে মাজাহ, তাও. হা/২৬৭৫