সাহাবায়ে কেরামগণ নাবী (ﷺ) কে হাদীয়া দিলে তিনি তা গ্রহণ করতেন। এমনি রাজা-বাদশাদের পক্ষ হতেও উপঢৌকন আসলে তিনি তাও গ্রহণ করতেন। রাজা-বাদশাদের পক্ষ হতে আগত হাদীয়া কখনও তিনি সাহাবীদের মধ্যে ভাগ করে দিতেন।
একবার আবু সুফিয়ান নাবী (ﷺ)কে হাদীয়া দিলে তিনি তা কবুল করেছেন। আবু উবাইদ (রহঃ) বলেন- আমের বিন মালেক নাবী (ﷺ)-এর নিকট হাদীয়া পাঠালে তিনি তা ফেরত দিয়েছেন। তিনি তখন বলেছিলেন- আমরা মুশরিকদের হাদীয়া গ্রহণ করিনা। আবু উবাইদ আরও বলেন- মুশরিক আবু সুফিয়ানের হাদীয়া কবুল করার কারণ হল, তখন নাবী (ﷺ) ও মক্কার মুশরিকদের মধ্যে হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি বলবৎ ছিল।
ঐদিকে মিশরের শাসক মুকাওকিসের হাদীয়াও তিনি কবুল করেছিলেন। কারণ মুকাওকিস নাবী (ﷺ)-এর দূত হাতেব (রাঃ) কে খুব সম্মান করেছিল। সে নাবী (ﷺ) এর নবুওয়াত ও রেসালাতের স্বীকারোক্তিও প্রদান করেছিল। তাই তিনি তাকে ইসলাম থেকে নিরাশ করেন নি।
সুতরাং তিনি তাঁর সাথে যুদ্ধরত কোন কাফের-মুশরিকের হাদীয়া কখনই কবুল করেন নি।
ইমাম সাহনুন (রহঃ) বলেন- রোমের বাদশাহ যদি মুসলমানদের ইমামের (শাসকের) জন্য কোন হাদীয়া পাঠায়, তাহলে তা গ্রহণ করতে অসুবিধা নেই। এটিকে ইমামের জন্য পার্সনাল (ব্যক্তিগত) হাদীয়া হিসাবে ধরা হবে। ইমাম আওযায়ী (রহঃ) বলেন- এতে সকল মুসলমানের হক সাব্যস্ত হবে। মুসলমানদের ইমাম বাইতুল মাল হতে সেই হাদীয়ার বিনিময় দান করবেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) বলেন- এটিকে গণীমতের মাল হিসাবে গণ্য করা হবে।