নাবী (ﷺ) আরও বলেন- হারাম অঞ্চলে পড়ে থাকা জিনিষও কুড়ানো যাবেনা। তবে ঘোষণা করে তার প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করার জন্য কুড়ানো জায়েয আছে। এই হাদীছের মাধ্যমে জানা গেল যে, কোন অবস্থাতেই হারাম অঞ্চলের জিনিষের মালিক হওয়া যাবে না এবং শুধু মালিকের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়ার জন্যই তা উঠানো জায়েয আছে। এটি ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল থেকে এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি মালিক হওয়ার নিয়তে হারামে পড়ে থাকা জিনিষ উঠানো জায়েয নেই। মালিকের জন্য হেফাজত করে রাখার জন্য তা উঠানো জায়েয আছে।
সুতরাং কেউ যদি উঠায়, তাহলে প্রকৃত মালিক আসার আগ পর্যন্ত প্রচার করতে হবে। এটিই সঠিক মত। হাদীসটি এ কথারই সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে।
মক্কা বিজয়ের ঘটনায় এও উল্লেখ আছে যে, কাবা ঘর থেকে মূর্তি ও দেব-দেবীর ছবিগুলো বের করার পূর্বে নাবী (ﷺ) তাতে প্রবেশ করেন নি। এতে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, মন্দির এবং যেখানে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে সেখানে সলাত আদায় করা জায়েয নেই। মূর্তির স্থানে সলাত আদায় করা পেশাব-পায়খানার স্থানে সলাত পড়ার চেয়েও অধিক দোষণীয়। কেননা পেশাব-পায়খানার স্থান হচ্ছে শয়তানের জায়গা। আর যেখানে মূর্তি রয়েছে, সেটি হচ্ছে শির্কের স্থান। মানব জাতির অধিকাংশ শিরক ছবি ও কবরকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে।
মক্কা বিজয়ের ঘটনাতে আরও প্রমাণ পাওয়া যায় যে, কোন একজন মহিলা যদি একজন বা দুইজন পুরুষকে নিরাপত্তা দেয়, তাহলে প্রদত্ত নিরাপত্তার প্রতি সম্মান করতে হবে। নাবী (ﷺ) সে দিন উম্মে হানির নিরাপত্তা দানকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি মক্কা বিজয়ের দিন তার দুই দেবরকে নিরাপত্তা দিলে রসূল (ﷺ) তা রক্ষা করেছেন। মুরতাদের কাছে তাওবা পেশ না করেই তাকে হত্যা করা জায়েয আছে। বিশেষ করে যেই মুরতাদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য হয়। নাবী (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন মুরতাদ আব্দুল্লাহ্ বিন আবী সার্হকে হত্যা করেছিলেন। তাকে তাওবা করার আহবান জানাননি।