আনাস বিন মালিক (রাঃ) বলেন- একদা উরায়না কিংবা উক্ল গোত্রের কিছু লোক নাবী (ﷺ) এর কাছে আগমণ করল। মদ্বীনার আবহাওয়া তাদের স্বাস্থের অনুকুল না হওয়ার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে গেল। নাবী (ﷺ) তাদেরকে দুগ্ধবতী উটের কাছে যেতে আদেশ করলেন এবং বললেন- তোমরা উটের দুধ এবং পেশাব পান কর। তারা তথায় চলে গেল। কিছু দিন পর সুস্থ হয়ে তারা নাবী (ﷺ) এর রাখালকে হত্যা করল এবং পশুগুলো নিয়ে পালিয়ে যেতে লাগল। দিবসের প্রথম ভাগে যখন নাবী (ﷺ) এর নিকট এ সংবাদ আসল, তিনি তাদেরকে পাকড়াও করার জন্য একদল সাহাবীকে প্রেরণ করলেন। দ্বিপ্রহরের সময় তাদেরকে পাকড়াও করে রসূল (ﷺ) এর দরবারে নিয়ে আসা হল। নাবী (ﷺ) এর আদেশে তাদের হাত-পা কেটে দেয়া হল এবং লোহার কাঠি গরম করে তাদের চক্ষুগুলো ফুঁড়ে দেয়া হল। তারপর তাদেরকে উত্তপ্ত বালুর উপর ফেলে রাখা হল। তারা পানির পিপাসায় কাতর হয়ে পানি চাইলেও তাদেরকে পানি দেয়া হল না।
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) বলেন- এই ঘটনা থেকে জানা গেল, (১) উটের পেশাব পান করা জায়েয।
(২) যে সমস্ত পশুর মাংস খাওয়া হালাল সে সমস্ত পশুর পেশাব পবিত্র।
(৩) আরও জানা গেল, যারা সন্ত্রাসী তাদেরকে হাত-পা কর্তন করসূহ হত্যা করা জায়েয।
(৪) সন্ত্রাসী কোন মানুষকে যেভাবে হত্যা করবে, তাকে সেভাবেই হত্যা করতে হবে। তারা নাবী (ﷺ) এর রাখালের চোখে গরম কাঠি ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তাই কিসাস স্বরূপ তাদেরকে সেভাবেই শাস্তি দেয়া হয়েছে। এই ঘটনা থেকে একটি স্বতন্ত্র বিধান সাব্যস্ত হয়েছে। আর এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল হুদুদ তথা দন্ডবিধির হুকুম-আহকাম নাযিল হওয়ার পূর্বে। তবে হুদুদের আহকাম নাযিল হওয়ার পর এই বিধান রহিত হয়ে যায়নি; বরং তাকে বহাল রেখেছে।