তিনি তাঁর উম্মাতকে আদেশ দিয়েছেন যে, তারা যেন গাধার ডাক শুনে ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম’ পাঠ করে এবং মোরগের ডাক শুনে যেন আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করে। বর্ণনা করা হয় যে, তিনি আগুন লাগলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলার আদেশ দিয়েছেন। তাকবীর আগুনকে নিভিয়ে ফেলবে।[1]
মজলিসে একত্রিত ব্যক্তিদের জন্য তিনি অপছন্দ করতেন যে, তাদের মজলিস আল্লাহ্ তা‘আলার যিকির থেকে শূণ্য হবে। তিনি এ ব্যাপারে বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন জায়গায় বসবে এবং তাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবেনা, সেখানে আল্লাহর পক্ষ হতে বিষণ্ণতা (দুঃখ, ক্লান্তি ও বেদনা) নেমে আসবে। আর যে ব্যক্তি শয়ন করবে, কিন্তু আল্লাহর স্মরণ করবেনা তার উপরও আল্লাহর পক্ষ হতে পেরেশানী নেমে আসবে।[2] তিনি আরও বলেন- যে ব্যক্তি এমন মজলিসে বসবে যেখানে অনর্থক বাজে কথা (গোলমাল) হয় সেই মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে সে যদি এই দু’আ পাঠ করেঃ
سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أشهد أن لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
অর্থঃ ‘‘হে আল্লাহ! তোমার পবিত্রতাসহ আমি তোমার প্রশংসা করছি। তুমি ছাড়া সত্য কোন ইলাহ নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এবং তোমার নিকট তাওবা করছি।’’ তাহলে সেই মজলিসে যত ভুল-ত্রুটি হবে আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ হতে তা ক্ষমা করে দেয়া হবে।[3]
সুনানে আবু দাউদে আছে, মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে তিনি এই দু’আটি পাঠ করতেন। তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন- এটি হচ্ছে ঐ মজলিসে যা কিছু হবে তার কাফ্ফারা।
[2]. সিলসিলায়ে সহীহা, হা/৭৭।
[3]. আবু দাউদ, আলএ্র, হা/৪৮৫৭, সহীহ তিরমিযী, মাপ্র.হা/৩৪৩৩, মিশকাত, মাশা.হা/২৪৩৩, সহীহ, তাহ্ব: আলবানী