নাবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করা হয় যে, তিনি যখন পাত্র থেকে কিছু পান করতেন তখন তিন নিঃশ্বাসে পান করতেন। প্রত্যেক নিঃশ্বাসের সময় আল্লাহর প্রশংসা করতেন। তিনি পানাহারের শেষে ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলতেন। নাবী (ﷺ) থেকে খাদ্য গ্রহণ শেষে এই দু’আটি পাঠ করার কথা বর্ণিত হয়েছেঃ্র
الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِى أَطْعَمَنِى هَذَا وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّى وَلاَ قُوَّةٍ
‘‘আমি সেই আল্লাহর প্রশংসা করছি, যিনি আমাকে বিনা পরিশ্রমে, সহজভাবে এবং আমার পক্ষ হতে শক্তি ব্যয় করা ছাড়াই এই রিযিক প্রদান করেছেন’’। অর্থাৎ আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত আমার নিজের জন্য কোন কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব নয়। হাদীছের শেষাংশে এসেছে, যে ব্যক্তি খাদ্য গ্রহণ শেষে এই দু’আ পাঠ করবে তার জীবনের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হবে।[1] নাবী (ﷺ) থেকে নিম্নের দু’আটিও বর্ণনা করা হয়ঃ
الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِى أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ
‘‘সেই আল্লাহর প্রশংসা করছি, যিনি আমাদেরকে পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মুসলিম করেছেন।’’ এই বর্ণনায় দুর্বলতা থাকলেও ভাবার্থ ঠিক আছে।[2] নাবী (ﷺ) কখনও কোন খাদ্যের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করতেন না। বরং তিনি কোন খাদ্য অপছন্দ করলে তা বর্জন করতেন এবং চুপ থাকতেন। কখনও তিনি বলতেন- এটির প্রতি আমার আগ্রহ নেই। তিনি কখনও কোন কোন খাদ্যের প্রশংসা করতেন। যেমন তিনি বলেছেন- সির্কা হচ্ছে সর্বোত্তম তরকারি। তিনি ঐ ব্যক্তির অন্তরকে খুশী করার জন্য কথাটি বলেছিলেন, যে নাবী (ﷺ) এর জন্য সির্কা পেশ করে বলেছিল- আমাদের কাছে খাল্ তথা সির্কা (ফলের রস বিশেষ) ব্যতীত অন্য কোন তরকারি নেই। সকল প্রকার খাদ্যের উপর সির্কার মর্যাদা বর্ণনা করা উদ্দেশ্য ছিলনা। তাঁর কাছে সিয়াম অবস্থায় খাদ্য পেশ করা হলে তিনি বলতেন- আমি সায়িম। কোন সিয়ামদারের নিকট খাদ্য পেশ করা হলে তিনি সায়িমকে আদেশ দিতেন, সে যেন খাদ্য পেশকারীর জন্য দু’আ করে। যার নিকট খাদ্য পেশ করা হবে সে যদি সায়িম না হয়ে থাকে তাহলে তার উচিৎ সেখান থেকে খাওয়া।
[2] . আবুদাউদ, আলএ. হা/ ৩৮৫০, সহীহ আত- তিরমিযী, হা/৩৪৫৭, মিশকাত, মাশা. হা/৪২০৪, ইমাম আলবানী রহঃ) এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন।