ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
মুখতাসার যাদুল মা‘আদ অনুচ্ছেদ সমুহের সূচী ও বিবরন ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

শাইখুল ইসলাম আল্লামা হাফিয ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) এর জীবনী কয়েক পৃষ্ঠায় লিখা সম্ভব নয়। তাঁর পূর্ণ জীবনী লিখতে একটি স্বতন্ত্র পুস্তকের প্রয়োজন। আমরা সেদিকে না গিয়ে অতি সংক্ষেপে তাঁর বরকতময় জীবনীর বেশ কিছু দিক উল্লেখ করার চেষ্টা করব।

শাইখের পূর্ণ নাম ও পরিচয়

তাঁর পূর্ণ নাম হচ্ছে, আবু আব্দুল্লাহ্ শামসুদ্দ্বীন মুহাম্মাদ বিন আবু বকর বিন আইয়্যুব ....আদ দিমাশকী। তিনি সংক্ষেপে ‘ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযীয়া’ বলেই মুসলিম উম্মার মাঝে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর পিতা দীর্ঘ দিন দামেস্কের আল জাওযীয়া মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বলেই তাঁর পিতা আবু বকরকে قيم الجوزيةকাইয়্যিমুল জাওযীয়া অর্থাৎ মাদরাসাতুল জাওযীয়ার তত্ত্বাবধায়ক বলা হয়। পরবর্তীতে তাঁর বংশের লোকেরা এই উপাধীতেই প্রসিদ্ধি লাভ করে।

জন্ম প্রতিপালন ও শিক্ষা গ্রহণ

তিনি ৬৯১ হিজরী সালের সফর মাসের ৭ তারিখে দামেস্কে জন্ম গ্রহণ করেন। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) এক ইলমী পরিবেশ ও ভদ্র পরিবারে প্রতিপালিত হন। মাদরাসাতুল জাওযীয়ায় তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পান্ডিত্য অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি স্বীয় যামানার অন্যান্য আলেমে দ্বীন থেকেও জ্ঞান অর্জন করেন। তাঁর উস্তাদগণের মধ্যে শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়া (রহঃ) সর্বাধিক উল্লেখ্য। ইবনে তাইমীয়া (রহঃ) এর ছাত্রদের মধ্যে একমাত্র ইবনুল কাইয়্যিমই ছিলেন তাঁর জীবনের সার্বক্ষণিক সাথী। ঐতিহাসিকদের ঐক্যমতে তিনি ৭১২ হিজরী সালে শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়ার সাথে সাক্ষাত করেন। এর পর থেকে শাইখের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি তাঁর সাথেই ছিলেন। এমনকি জিহাদের ময়দান থেকে শুরু করে জেলখানাতেও তিনি তাঁর থেকে আলাদা হননি। এভাবে দীর্ঘ দিন স্বীয় উস্তাদের সাহচর্যে থেকে যোগ্য উস্তাদের যোগ্য শিষ্য এবং শাইখের ইলম এবং দার্স-তাদরীসের সঠিক ওয়ারিছ হিসাবে গড়ে উঠেন। সেই সাথে স্বীয় পান্ডিত্য বলে এক অভিনব পদ্ধতিতে ইসলামী আকীদাহ ও তাওহীদের ব্যাখ্যা দানে পারদর্শিতা লাভ করেন।

তাঁর সম্পর্কে বলা হয় যে, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়া (রহঃ) এর সাথে সাক্ষাতের পূর্বে তিনি সুফীবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। অতঃপর শাইখের সাহচর্য পেয়ে এবং তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি সুফীবাদ বর্জন করেন এবং তাওবা করে হিদায়াতের পথে চলে আসেন। তবে এ তথ্যটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত নয় বলে কতিপয় আলেম উল্লেখ করেছেন। যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, তিনি প্রথম জীবনে সুফী তরীকার অনুসারী ছিলেন, তবে এমনটি নয় যে, তিনি বর্তমান কালের পঁচা, নিকৃষ্ট ও শিরক-বিদআতে পরিপূর্ণ সুফীবাদে বিশ্বাসী ছিলেন; বরং তিনি পূর্ব কালের সেই সমস্ত সম্মানিত মনীষির পথ অনুসরণ করতেন, যারা পার্থিব জীবনের ভোগ-বিলাস বর্জন করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য আত্মশুদ্ধি, উন্নত চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন, ইবাদত-বন্দেগী ও যিকির-আযকারে মশগুল থাকতেন এবং সহজ-সরল ও সাধারণ জীবন যাপন করতেন। আর এটি কোন দোষণীয় বিষয় নয়।

আল্লামা ইবনে তাইমীয়ার পর ইবনুল কাইয়্যিমের মত দ্বিতীয় কোন মুহাক্কিক আলেম পৃথিবীতে আগমন করেছেন বলে ইতিহাসে প্রমাণ পাওয়া যায় না। তিনি ছিলেন তাফসীর শাস্ত্রে বিশেষ পান্ডিত্যের অধিকারী, উসূলে দ্বীন তথা আকীদাহর বিষয়ে পর্বত সদৃশ, হাদীস ও ফিকহ্ শাস্ত্রে গভীর জ্ঞানের অধিকারী এবং নুসূসে শরঈয়া থেকে বিভিন্ন হুকুম-আহকাম বের করার ক্ষেত্রে অদ্বিতীয়।

সুতরাং একদিকে তিনি যেমন শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমীয়ার ইলমী খিদমাতসমূহকে একত্রিত করেছেন, এগুলোর অসাধারণ প্রচার-প্রসার ঘটিয়েছেন, শাইখের দাওয়াত ও জিহাদের সমর্থন করেছেন, তাঁর দাওয়াতের বিরোধীদের জবাব দিয়েছেন এবং তাঁর ফতোয়া ও মাসায়েলের সাথে কুরআন ও সুন্নাহ্-এর দলীল যুক্ত করেছেন, সেই সাথে তিনি নিজেও এক বিরাট ইলমী খেদমত মুসলিম জাতিকে উপহার দিয়েছেন।

ডাক্তারী বিজ্ঞানের আলেমগণ বলেন- আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) তাঁর লিখিত কিতাব ‘তিবেব নববী’তে চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে সমস্ত বিরল অভিজ্ঞতা ও উপকারী তথ্য পেশ করেছেন এবং চিকিৎসা জগতে যে সমস্ত বিষয়ের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন, তা চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসে চিরকাল অমস্নান হয়ে থাকবে। তিনি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার হিসাবেও পারদর্শীতা অর্জন করেছিলেন।

কাযী বুরহান উদ্দ্বীন (রহঃ) বলেন- আকাশের নীচে তার চেয়ে অধিক প্রশস্ত জ্ঞানের অধিকারী সে সময় অন্য কেউ ছিল না।

ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) এর কিতাবগুলো পাঠ করলে ইসলামের সকল বিষয়ে তাঁর গভীর জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। আরবী ভাষা জ্ঞানে ও শব্দ প্রয়োগে তিনি অত্যন্তনিপুণতার পরিচয় দিয়েছেন। তার লেখনীর ভাষা খুব সহজ। তাঁর উস্তাদের কিছু কিছু লিখা বুঝতে অসুবিধা হলেও তাঁর কিতাবসমূহের ভাষা খুব সহজ ও বোধগম্য।

তার অধিকাংশ কিতাবেই দ্বীনের মৌলিক বিষয় তথা আকীদাহ ও তাওহীদের বিষয়টি অতি সাবলীল, প্রাঞ্জল ও চিত্তাকর্ষক ভাষায় ফুটে উঠেছে। সুন্নাতে রসূল (ﷺ) এর প্রতি ছিল তাঁর অগাধ ভালবাসা। বিদআত ও বিদআতীদের প্রতিবাদে তিনি ছিলেন স্বীয় উস্তাদের মতই অত্যন্তকঠোর। লেখনী ও বক্তৃতার মাধ্যমে সুন্নাত বিরোধী কথা ও আমলের মূলোৎপাটনে তিনি তাঁর সর্বোচ্চ সময় ও শ্রম ব্যয় করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেন নি। তাওহীদের উপর তিনি মজবুত ও একনিষ্ঠ থাকার কারণে এবং শিরক ও বিদআতের জোরালো প্রতিবাদের কারণে তাঁর শত্রুরা তাকে নানাভাবে কষ্ট দিয়েছে। তাকে গৃহবন্দী, দেশান্তর এবং জেলখানায় ঢুকানোসহ বিভিন্ন প্রকার মসীবতে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এত নির্যাতনের পরও তিনি স্বীয় লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হতে বিন্দুমাত্র সরে দাঁড়াননি।

কর্মজীবন

জওযীয়া নামক মহল্লার ইমামতি, শিক্ষকতা, ফতোয়া দান, দাওয়াতে দ্বীনের প্রচার ও প্রসার ঘটানো এবং লেখালেখির মাধ্যমেই তিনি তাঁর কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। যে সমস্ত মাসআলার কারণে তিনি কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন, তার মধ্যে এক সাথে তিন তালাকের মাসআলা, আল্লাহর নাবী ইবরাহীম খলীল (আঃ) এর কবরে ছাওয়াবের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করার মাসআলা এবং শাফা‘আত এবং নাবী-রসূলদের উসীলার মাসআলা অন্যতম। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর উপর রহম করুন। এটিই নাবী-রাসূলের পথ। যে মুসলিম আল্লাহর পথে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে, তাঁর জেনে রাখা উচিৎ যে, তিনি ইমামুল মুওয়াহ্হিদ্বীন ইবরাহীম খলীল (আঃ) এবং বনী আদমের সরদার মুহাম্মাদ (ﷺ) এর পথেই রয়েছেন। মুসলিম উম্মার জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিশাল দ্বীনি খেদমত রেখে গেছেন। তাঁর বেশ কিছু ইলমী খেদমত নিম্নে উল্লেখ করা হল।

(আস্ সাওয়ায়েকুল মুরসালাহ) الصواعق المرسلة ১.

(যাদুল মা‘আদ ফী হাদ্য়ী খাইরিল ইবাদ) زاد المعاد في هدي خير العباد ২.

(মিফতাহু দারিস সাআদাহ )مفتاح دار السعادة ৩.

(মাদারিজুস্ সালিকীন)مدارج السالكين ৪.

(আল-কাফীয়াতুশ শাফিয়া ফীন্ নাহু) الكافية الشافية في النحو ৫.

(আল-কাফীয়াতুশ শাফীয়া ফীল ইনতিসার লিলফিরকাতিন নাজীয়াহ ) الكافية الشافية في الانتصار للفرقة ৬.

(আল-কালিমুত তায়্যিবু ওয়াল আমালুস সালিহু) الكلم الطيب والعمل الصالح ৭.

(আল-কালামু আলা মাসআলাতিস্ সামাঈ )الكلام على مسألة السماع ৮.

(হিদায়াতুল হায়ারা ফী আজভিবাতিল ইয়াহুদ ওয়ান্ নাসারা)هداية الحيارى في أجوبة اليهودوالنصارى ৯.

(আলমানারুল মুনীফ ফীস্ সহীহ ওয়ায্ যঈফ) المنار المنيف في الصحيح والضعيف ১০.

(ইলামুল মআক্কীয়িন )أعلام الموقعين عن رب العالمين ১১

(আল-ফুরুসীয়াহ) الفروسية ১২.

(তরীকুল হিজরাতাইন ও বাবুস্ সাআদাতাইন) طريق الهجرتين وباب السعادتين ১৩.

(আত্ তুরুকুল হুকামিয়াহ ) الطرق الحكمية ১৪.

(আল-ফাওয়ায়েদ) الفوائد ১৫.

(হাদীল আরওয়াহ ইলা বিলাদিল আফরাহ) حادي الأرواح إلى بلاد الأفراح ১৬.

(আল-ওয়াবিলুস্ সাইয়্যিব) الوابل الصيب ১৭.

(উদ্দাতুস সাবিরীন ও যাখীরাতুশ্ শাকিরীন) عدة الصابرين وذخيرة الشاكرين ১৮.

(তাহ্যীবু সুনানে আবী দাউদ) تهذيب سنن أبي داود ১৯.

(আস্ সিরাতুল মুসতাকীম) الصراط المستقيم ২০.

(শিফাউল আলীল) شفاء العليل ২১.

(কিতাবুর রূহ্) كتاب الروح ২২.

এ ছাড়াও তাঁর আরও কিতাব রয়েছে, যা এখনও আমাদের নযরে পড়েনি।

তাঁর ইবাদত-বন্দেগী ও আখলাক-চরিত্র

আল্লামা ইবনে রজব (রহঃ) তাঁর ইবাদত-বন্দেগী সম্পর্কে বলেন- তিনি ছিলেন ইবাদতকারী, তাহাজ্জুদ গোজার, সলাতে দীর্ঘ কিরাআত পাঠকারী, সদা যিকির-আযকারে মশগুল, আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবা-ইসতেগফারকারী, আল্লাহর সামনে এবং তাঁর দরবারে কাকুতি-মিনতি পেশকারী। তিনি আরও বলেন- আমি তাঁর মত ইবাদত গোজার অন্য কাউকে দেখিনি, তাঁর চেয়ে অধিক জ্ঞানী অন্য কাউকে পাইনি, কুরআন, সুন্নাহ্ এবং তাওহীদের মাসআলা সমূহের ব্যাখ্যা সম্পর্কে তাঁর চেয়ে অধিক পারদর্শী অন্য কেউ ছিলনা। তবে তিনি মা’সুম তথা সকল প্রকার ভুলের উর্ধ্বে ছিলেন না। দ্বীনের পথে তিনি একাধিকবার বিপদাপদ ও ফিতনার সম্মুখীন হয়েছেন। এ সব তিনি অত্যন্তধৈর্যের সাথে বরদাশত করেছেন। সর্বশেষে তিনি দামেস্কের দূর্গে শাইখ তকীউদ্দ্বীনের সাথে বন্দী ছিলেন। শাইখের মৃত্যুর পর তিনি জেলখানা থেকে বের হন। জেল খানায় থাকা অবস্থায় তিনি কুরআন তিলাওয়াত এবং কুরআনের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণায় লিপ্ত থাকতেন।

আল্লামা ইবনে কাছীর (রহঃ) তাঁর সম্পর্কে বলেন- আমাদের যামানায় ইবনুল কাইয়্যিমের চেয়ে অধিক ইবাদতকারী অন্য কেউ ছিলেন বলে জানিনা, তিনি অত্যন্তদীর্ঘ সলাত পড়তেন এবং রুকূ ও সিজদাহ লম্বা করতেন। এ জন্য অনেক সময় তাঁর সাথীগণ তাঁকে দোষারোপ করতেন। তথাপিও তিনি স্বীয় অবস্থানে অটল থাকতেন।

তাঁর উস্তাদ বৃন্দ

  •     আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) যে সমস্ত আলেম-উলামার কাছ থেকে তালীম ও তারবীয়াত হাসিল করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেনঃ
  •     শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়াহ (রহঃ)।
  •     আহমাদ বিন আব্দুদ্ দায়িম আল-মাকদেসী (রহঃ)।
  •     তাঁর পিতা কাইয়্যিমুল জাওযীয়াহ (রহঃ)।
  •     আহমাদ বিন আব্দুর রহমান আন্ নাবলেসী (রহঃ)।
  •     ইবনুস্ সিরাজী (রহঃ)।
  •     আল-মাজদ্ আল হাররানী (রহঃ)।
  •     আবুল ফিদা বিন ইউসুফ বিন মাকতুম আলকায়সী (রহঃ)।
  •     হাফিয ইমাম আয-যাহাবী (রহঃ)।
  •     শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমীয়ার ভাই শরফুদ্দ্বীন আব্দুল্লাহ্ বিন আব্দুল হালীম ইবনে তাইমীয়াহ্ আন্ নুমাইরী (রহঃ)।
  •     তকীউদ্দ্বীন সুলায়মান বিন হামজাহ আদ্ দিমাস্কী (রহঃ) এবং আরও অনেকেই।

তাঁর ছাত্রসমূহ

  •     ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) এর হাতে যে সমস্ত মনীষী জ্ঞান আহরণে ধন্য হয়েছিলেন, তাদের তালিকা অতি বিশাল। তাদের কতিপয়ের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হল।
  •     বুরহান উদ্দ্বীন ইবরাহীম বিন ইবনুল কাইয়্যিম।
  •     ইমাম ইবনে রজব (রহঃ)।
  •     হাফিয ইমাম ইবনে কাছীর (রহঃ)।
  •     আলী বিন আব্দুল কাফী আস্ সুবকী (রহঃ)।
  •     মুহাম্মাদ বিন আহমাদ ইবনে কুদামা আলমাকদেসী (রহঃ)।
  •     মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব আলফাইরুযাবাদী (রহঃ)।

মৃত্যু

মুসলিম উম্মার জন্য অসাধারণ ইলমী খেদমত রেখে এবং ইসলামী লাইব্রেরীর বিরাট এক অংশ দখল করে হিজরী ৭৫১ সালের রজব মাসের ১৩ তারিখে এই মহা মনীষী এ নশ্বর ইহধাম ত্যাগ করেন। দামেস্কের বাবে সাগীরের গোরস্থানে তাঁর পিতার পাশেই তাঁকে দাফন করা হয়। হে আল্লাহ্! তুমি তাঁকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান কর এবং তোমার রহমত দিয়ে তাঁকে ঘিরে নাও। আমীন!