উত্তর: নেফাক দুই প্রকার: নেফাকে এ‘তেকাদী বা বিশ্বাসগত নেফাক এবং নেফাকে আমলি বা আমলগত নেফাক।
বিশ্বাসগত নেফাক কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ হয়েছে, তাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের একেবারে নিম্নস্থল ওয়াজিব করে রেখেছেন।
নেফাকে আমলি: রাসূলের বাণীতে এসেছে: চারটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার মধ্যে তা পাওয়া যাবে সে খাঁটি মুনাফিক। আর যার মধ্যে এর কোনো একটি পাওয়া যাবে, তার মধ্যে মুনাফেকের একটি নিদর্শন পাওয়া যাবে যতক্ষণ না সে তা ত্যাগ করবে।
(বৈশিষ্টগুলো হল:) সে যখন কথা বলবে তখন মিথ্যা বলবে, কোনো অঙ্গিকার করলে তা ভঙ্গ করবে, ঝগড়া করলে গালি দেবে এবং তার নিকট কোনো কিছু আমানত রাখলে এর খিয়ানত করবে।
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) আরো বলেছেন: মুনাফেকের নিদর্শন তিনটি: সে যখন কথা বলবে তখন মিথ্যা বলবে, কোনো অঙ্গিকার করলে তা ভঙ্গ করবে এবং তার নিকট কোনো কিছু আমানত রাখলে এর খিয়ানত করবে।
গুণীজন বলেন: এ নেফাকী কখনো ইসলামের মূলনীতির সাথে একত্রিত হতে পারে কিন্তু যখন তা প্রাধান্যতা লাভ করে তখনই সেই মুনাফেক ইসলাম থেকে সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যায় যদিও সে নামায পড়ে, রোজা রাখে এবং নিজেকে মুসলিম হিসাবে দাবী করে। কেননা তার মধ্যে এ সকল বৈশিষ্ট থাকায় ঈমানই তাকে মুসলিম হওয়া থেকে বারণ করে। কাজেই কোনো বান্দার মধ্যে যখন এ বৈশিষ্ট্যগুলো পূর্ণতা লাভ করবে এবং এ থেকে বিরত থাকার জন্য বারণ করার মত কোনো কারণ না থাকে তাহলে সে খাঁটি মুনাফেকে পরিণত হবে।