ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
স্বালাতে মুবাশ্‌শির বিদআতী নামায আবদুল হামীদ ফাইযী
স্বালাতুল আওয়াবীন

আওয়াবীনের নামায আসলে চাশতের নামাযের অপর নাম। মহানবী (ﷺ) বলেন, “চাশতের নামায হল আওয়াবীনের নামায।” (জামে ৩৮২৭নং) আর এ হাদীস এ কথারই দলীল যে, মাগরেবের পর উক্ত নামের নামাযটি ভিত্তিহীন ও বিদআত। যেমন এই নামাযের খেয়ালী উপকার বর্ণনায় বলা হয়ে থাকে যে, সৃষ্টিজগৎ ঐ নামাযীর অনুগত হয়ে যায় এবং ১২ বছরের কবুল হওয়া ইবাদতের সওয়াব লিখা হয়।

যে হাদীসে মাগরেব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ের নামাযকে আওয়াবীনের নামায বলা হয়েছে, তা সহীহ নয়; যয়ীফ। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৪৬১৭, যইফ জামে ৫৬৭৬নং)

তিরমিযী ও ইবনে মাজাতে যে ৬ রাকআত নামায মাগরেবের পর পড়লে ১২ বছর ইবাদতের সমান হওয়ার কথা বলা হয়েছে তা সহীহ নয়। বরং তা খুবই দুর্বল হাদীস। (তিরমিযী, সুনান ৬৬, সিযা: ৪৬৯, যইফ জামে ৫৬৬১নং) যেমন ৫০ বছরের গুনাহ মাফ হওয়ার হাদীসও দুর্বল। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৪৬৮, যইফ জামে ৫৬৬৫নং)

তদনুরুপ এই সময়ে ২০ রাকআত নামাযে বেহেশ্তে একটি গৃহ্‌ লাভের হাদীসটিও জাল ও মনগড়া। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৪৬৭, যইফ জামে ৫৬৬২নং)

অবশ্য সাধারণভাবে নফল নামায যেমন নিষিদ্ধ সময় ছাড়া যে কোন সময়ে পড়া যায়, তেমনি মাগরেব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে সাধারণ নফল অনির্দিষ্টভাবে পড়া যায়। মহানবী (ﷺ) এই সময়ে নফল নামায পড়তেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। (জামে ৪৯৬২নং)