মহানবী (ﷺ) সফরে সাধারণত: ফরয নামাযের আগে বা পরে সুন্নত নামায পড়তেন না। তবে বিত্র ও ফজরের সুন্নত তিনি সফরেও নিয়মিত পড়তেন। যেমন এর পূর্বেও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
বলা বাহুল্য, সফরে (বিত্র ও ফজরের আগে ২ রাকআত ছাড়া) সুন্নত (মুআক্কাদাহ) না পড়াই সুন্নত। হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) এক সফরে লোকেদেরকে ফরয নামাযের পর সুন্নত পড়তে দেখে বললেন, ‘যদি আমাকে সুন্নতই পড়তে হত, তাহলে ফরয নামায পুরা করেই পড়তাম। আমি নবী (ﷺ)-এর সাথে সফরে থেকেছি। আমি তাঁকে সুন্নত পড়তে দেখিনি।’ অতঃপর তিনি বললেন,
(لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ)
অর্থাৎ, নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (কুরআন মাজীদ ৩৩/২১) (বুখারী ১১০১নং, মুসলিম, সহীহ)
আমি নবী (ﷺ)-এর সাথে সফরে থেকেছি। তিনি ২ রাকআতের বেশী নামায পড়তেন না। অনুরুপ আবূ বাক্র, উমার ও উসমান (রাঃ)-ও করতেন।’ (বুখারী ১১০২নং, মুসলিম, মিশকাত ১৩৩৮নং)
তবে সফরে সুন্নাতে মুআক্কাদাহ পড়া যাবে না এমন কথা নয়। যেহেতু মহানবী (ﷺ) কখনো কখনো কিছু কিছু সুন্নাতে মুআক্কাদাহ পড়তেন। (মিশকাত আলবানীর টীকা ১/৪২৩)অবশ্য সাধারণ নফল, তাহাজ্জুদ, চাশত, তাহিয়্যাতুল মাসজিদ প্রভৃতি নামায সফরে পড়া চলে। যেমন ফরয নামাযের আগে-পরেও নফলের নিয়তে নামায পড়া দূষণীয় নয়।
মক্কা বিজয়ের দিন উম্মেহানীর ঘরে তিনি চাশতের নামায পড়েছেন। (বুখারী) এ ছাড়া তিনি সফরে উটের পিঠে নফল ও বিত্র নামায পড়তেন। (বুখারী, মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান)