একই মসজিদে একই সময়ে দুটি জামাআত করা বৈধ নয়। কেননা তাতে জামাআত না হয়ে বিচ্ছিন্নতাই প্রকাশ পায়।
অবশ্য কোন মসজিদে নির্দিষ্ট ইমাম না থাকলে সেখানে প্রথম জামাআতের পর দ্বিতীয় বা তৃতীয় জামাআত দূষণীয় নয়।
যেমন পথের ধারে বা বাজারের মসজিদে বারবার জামাআত হওয়াও দোষাবহ্ নয়। বরং যারা যখন আসবে তারা তখনই জামাআত সহকারে নামায আদায় করে নিজ নিজ কাজে বের হয়ে যাবে।
যেমন মসজিদ ছোট হওয়ার কারণে প্রথম জামাআতে বিরাট সংখ্যক মানুষের এক সাথে নামায পড়া সম্ভব না হলে, জামাআত শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় বা তৃতীয় জামাআত করাও বৈধ।
মসজিদের নির্ধারিত ইমামের ইমামতিতে জামাআত শেষ হয়ে যাওয়ার পর জামাআত হওয়ার মত লোক মসজিদে এলে জামাআতের ফযীলত নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের দ্বিতীয় জামাআত করা বৈধ।
একদা জামাআত হয়ে গেলে এক ব্যক্তি মসজিদে এল। মহানবী (ﷺ) বললেন, “কে আছে যে এর জন্য সাদকাহ্ করবে? (এর সওয়াব বর্ধন করবে?)” এ কথা শুনে এক ব্যক্তি উঠে তার সাথে নামায পড়ল। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ১১৪৬নং)
হযরত আনাস (রাঃ) এক মসজিদে এলেন। দেখলেন, সেখানে জামাআত হয়ে গেছে। তিনি সেখানে আযান-ইকামত দিয়ে জামাআত সহকারে নামায আদায় করলেন। (বুখারী, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/১৫৪)
অবশ্য এই সুবাদে কেউ যেন প্রথম জামাআতে উপস্থিত হওয়াতে ঢিলেমি না করে। কারণ, (কোন ওযর না থাকলে) আযান শোনামাত্র মসজিদে হাযির হওয়ার জন্য তৎপর হওয়া ওয়াজেব। (ফাতাওয়া মুহিম্মাহ্ তাতাআল্লাকু বিস-স্বালাহ্, ইবনে বায ৭৪পৃ:)