নামাযের এক রাকআত ইমামের সাথে পেলে জামাআতের পূর্ণ ফযীলত পাওয়া যায়। মহানবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি ইমামের সাথে এক রাকআত নামায পেয়ে গেল, সে নামায পেয়ে গেল।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১৪১২নং)
তিনি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি জুমুআহ অথবা অন্য নামাযের এক রাকআত পেয়ে গেল, সে নামায পেয়ে গেল।” (ইবনে মাজাহ্, সুনান ১১২৩নং)
অবশ্য ইমামের সালাম ফিরার আগে তাকবীরে তাহ্রীমা দিয়ে নামাযের যেটুকু অংশ পাওয়া যায় সেটুকুকে ভিত্তি করে জামাআতে শামিল হওয়া যায়। যেহেতু মহানবী (ﷺ) বলেন, “নামাযের ইকামত হয়ে গেলে তোমরা দৌড়ে এস না। বরং তোমরা স্বাভাবিকভাবে চলে এস। আর তোমাদের মাঝে যেন স্থিরতা থাকে। অতঃপর যেটুকু নামায পাও তা পড়ে নাও এবং যা ছুটে যায় তা পুরা করে নাও।” (মুসলিম, সহীহ ৬০২)
উল্লেখ্য যে, জামাআত করার মত লোক থাকলেও শেষ রাকআতে রুকূর পর বা শেষ তাশাহ্হুদে জামাআতে শামিল না হয়ে ইমামের সালাম ফিরার পর দ্বিতীয় জামাআত করা উত্তম নয়। উত্তম হল, ইমামের সালাম ফিরার আগে পর্যন্ত জামাআতে শামিল হওয়া। (ফাতাওয়া মুহিম্মাহ্ তাতাআল্লাকু বিস-স্বালাহ্, ইবনে বায ৭৬পৃ:)
কেউ কেউ বলেন, সঙ্গে জামাআত করার মত লোক থাকলে এবং ইমাম শেষ তাশাহ্হুদে থাকলে জামাআতে শামিল না হয়ে তাদের সালাম ফিরার পর নতুনভাবে জামাআত করে নামায পড়া উত্তম। কেননা, মহানবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি ইমামের সাথে এক রাকআত নামায পেয়ে গেল, সে নামায পেয়ে গেল।” আর তার মানেই হল যে এক রাকআত পেল না বরং সিজদাহ বা তাশাহহুদ পেল, সে নামায পেল না। অতএব নতুন করে জামাআত করলে প্রথম থেকে জামাআত পাওয়া যাবে এবং পূর্ণ নামাযও পাওয়া যাবে। আর এটাই হবে উত্তম। (ফাতাওয়া তাতাআল্লাকু বিজামাআতিল মাসজিদ ৫০পৃ:) অতএব আল্লাহই ভালো জানেন।