অতঃপর নবী মুবাশ্শির (ﷺ) মাটির উপর (দুই হাতের চেটোতে) ভর করে দ্বিতীয় রাকআতের জন্য উঠে খাড়া হতেন। (শাফেয়ী, বুখারী ৮২৪নং) এক্ষণে তিনি হাত দু’টিকে খমীর সানার মত মাটিতে রাখতেন। (আবূ ইসহাক হারবী, বায়হাকী, তামামুল মিন্নাহ্, আলবানী ১৯৬পৃ:) আরযাক বিন কইস বলেন, আমি দেখেছি, ইবনে উমার নামাযে যখন (পরবর্তী রাকআতের) জন্য উঠতেন, তখন মাটির উপর (হাতের) ভর দিয়ে উঠতেন। (ত্বাবারানী, মু’জাম আউসাত্ব, তামামুল মিন্নাহ্, আলবানী ২০১পৃ:)
ইমাম ইসহাক বিন রাহুয়াইহ্ বলেন, ‘নবী (ﷺ) হতে এই সুন্নাহ্ প্রচলিত হয়ে আসছে যে, বৃদ্ধ, যুবক প্রত্যেকেই নামাযের মধ্যে ওঠার সময় দুইহাতের উপর ভর করে উঠবে। (ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ২/৮২-৮৩, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ১৫৫পৃ:)
পক্ষান্তরে যাঁরা ওয়াইল বিন হুজরের হাতের পূর্বে হাঁটু রাখার হাদীসকেও হাসান মনে করেন তাঁরা বলেন, নামাযীর জন্য আসান হলে ঊরুর উপর হাত রেখে উঠে দাঁড়াবে। নচেৎ কষ্ট হলে মাটির উপর হাত রেখে উঠবে। (উদ্দাহ্ ৯৬পৃ:, ইবনে বায, মাজমূআতু রাসাইল ফিস স্বালাহ্ ১২৭পৃ:, ইবনে উসাইমীন, রিসালাতুন ফী সিফাতি স্বালাতিন্নাবী (ﷺ) ১১পৃ:, আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/১৯০-১৯১)
দ্বিতীয় রাকআতের জন্য উঠে মহানবী (ﷺ) চুপ না থেকে (বিসমিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম বলে) সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন। (মুসলিম, সহীহ ৫৯৯ নং, আহমাদ, মুসনাদ) শুরুতে ‘আঊযু বিল্লাহ্---’ও পড়া যায়। না পড়লেও ধর্তব্য নয়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/১৯৬)
সূরা ফাতিহা প্রত্যেক রাকআতে পাঠ করা ওয়াজেব। কারণ, তিনি নামায ভুলকারী সাহাবীকে প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়তে আদেশ করার পর বলেছিলেন, “--- অতঃপর এইরুপ তুমি প্রত্যেক রাকআতে বা তোমার পূর্ণ নামাযে কর।” (বুখারী, মুসলিম, আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান)
তাঁর অন্যান্য কর্মও প্রথম রাকআতের অনুরুপ হত। তবে প্রথম রাকআতের তুলনায় দ্বিতীয় রাকআতটি সংক্ষেপ ও ছোট হত। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৮২৮নং)