এরপর নবী মুবাশ্শির (ﷺ) তাঁর ডানহাতকে বামহাতের উপর রাখতেন। (মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩৫২নং) আর তিনি বলতেন, “আমরা আম্বিয়ার দল শীঘ্র ইফতারী করতে, দেরী করে সেহ্রী খেতে এবং নামাযে ডানহাতকে বামহাতের উপর রাখতে আদিষ্ট হয়েছি।” (ত্বাবারানী, মু’জাম, মাজমাউয যাওয়াইদ,হাইষামী ২/১০৫)
একদা তিনি নামাযে রত এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে পার হতে গিয়ে দেখলেন, সে তার বাম হাতকে ডান হাতের উপর রেখেছে। তিনি তার হাত ছাড়িয়ে ডান হাতকে বাম হাতের উপর চাপিয়ে দিলেন। (আহমাদ, মুসনাদ ৩/৩৮১, আবূদাঊদ, সুনান ৭৫৫নং)
সাহল বিন সা’দ (রাঃ) বলেন, লোকেরা আদিষ্ট হত, তারা যেন নামাযে তাদের ডানহাতকে বাম প্রকোষ্ঠ (হাতের রলার) উপর রাখে। (বুখারী ৭৪০নং)
ওয়াইল বিন হুজর (রাঃ) বলেন, তিনি ডান হাতকে বাম হাতের চেটোর পিঠ, কব্জি ও প্রকোষ্ঠের উপর রাখতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৭২৭ নং, নাসাঈ, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ, ইবনে হিব্বান, সহীহ)
কখনো বা ডান হাত দ্বারা বাম হাতকে ধারণ করতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৭২৬নং, নাসাঈ, সুনান, তিরমিযী, সুনান ২৫২, দারাক্বুত্বনী, সুনান)
আল্লামা আলবানী বলেন, উক্ত হাদীস এই কথার দলীল যে, সুন্নত হল ডান হাত দিয়ে বাম হাতকে ধারণ করা। আর পূর্বের হাদীস প্রমাণ করে যে, ডান হাত বাম হাতের উপর (ধারণ না করে) রাখা সুন্নত। সুতরাং উভয় প্রকার আমলই সুন্নত। পক্ষান্তরে একই সঙ্গে প্রকোষ্ঠের উপর রাখা এবং ধারণ করা -যা কিছু পরবর্তী হানাফী উলামাগণ উত্তম মনে করেছেন তা বিদআত। তাদের উল্লেখ মতে তার পদ্ধতি হল এই যে, ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখবে, কড়ে ও বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে বাম হাতের প্রকোষ্ঠ (রলা) কে ধারণ করবে। আর বাকী তিনটি আঙ্গুল তার উপর বিছিয়ে দেবে। (হাশিয়া ইবনে আবেদ্বীন ১/৪৫৪) সুতরাং উক্ত পরবর্তীগণের কথায় আপনি ধোকা খাবেন না। (সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ৮৮পৃ:, ৩নং টীকা)
পক্ষান্তরে উভয় হাদীসের উপর আমল করতে হলে কখনো না ধরে রাখতে হবে এবং কখনো ধারণ করতে হবে। যেহেতু একই সঙ্গে ঐ পদ্ধতি হাদীসে বর্ণিত হয় নি।
প্রকাশ থাকে যে, ডান হাত দ্বারা বাম হাতের বাজু ধরারও কোন ভিত্তি নেই। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/৪৫)