মহানবী (ﷺ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ সামনে সুতরাহ্ রেখে নামায পড়লে এবং কেউ তার ঐ সুতরার ভিতর দিয়ে পার হতে চাইলে সে যেন তার বুকে ঠেলে পার হতে বাধা দেয় ও যথাসম্ভব রুখতে চেষ্টা করে।” এক বর্ণনায় আছে, “তাকে যেন দু’ দু’ বার বাধা দেয়। এর পরেও যদি সে মানতে না চায় (এবং ঐ দিকেই পার হতেই চায়) তাহলে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কারণ, (বাধাদান সত্ত্বেও যে বাধা মানে না) সে তো শয়তান।” (বুখারী, মুসলিম,ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ, মিশকাত ৭৭৭নং)
তিনি বলেন, “সুতরাহ্ ছাড়া নামায পড়ো না। কাউকে তোমার সামনে বেয়ে পার হতেও দিও না। (সুতরার ভিতর বেয়ে যেতে) সে যদি মানা না মানে, তবে তার সাথে লড়। কারণ, তার সাথে শয়তান আছে।” (ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ ৮০০নং)
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) জুমআর দিন একটি থামকে সুতরাহ্ করে নামায পড়ছিলেন। ইত্যবসরে বানী উমাইয়ার এক ব্যক্তি তাঁর ও থামের মাঝ বেয়ে পার হতে গেলে তিনি তাকে বাধা দিলেন। কিন্তু লোকটি পুনরায় পার হওয়ার চে ষ্টা করল। তিনি তার বুকে এক থাপ্পড় দিলেন। লোকটি মদ্বীনার গভর্নর মারওয়ানের নিকট তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ জানাল। মারওয়ান আবূ সাঈদ (রাঃ) কে বললেন, ‘আপনি আপনার ভাইপোকে মেরেছেন কি কারণে?’ আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ যখন কিছুকে সুতরাহ্ বানিয়ে নামায পড়ে, অতঃপর কেউ তার ঐ সুতরার ভিতর দিয়ে পার হতে চায়, তবে সে যেন তাকে বাধা দেয়। এতেও যদি সে না মানে, তাহলে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কারণ, সে তো শয়তান।” সুতরাং আমি শয়তানকেই তো মেরেছি!’ (ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ ৮১৭নং)
শুধু মানুষই নয়, কোন পশুও সামনে বেয়ে পার হতে চাইলে তাকেও বাধা দেওয়া উচিৎ। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘একদা নবী (ﷺ) নামায পড়ছিলেন। এমন সময় একটি ছাগল (বা ভেঁড়া) তাঁর সামনে দিয়ে ছুটে পার হতে চাইল। কিন্তু তিনি তার আগেই তাকে ধরে ফেললেন। এমনকি তার পেটকে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে দিলেন। অতঃপর ছাগল (বা ভেঁড়া)টি তাঁর পিছন দিক হতে পার হয়ে গেল।’ (আবূদাঊদ, সুনান ৭০৮-৭০৯, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ ৮২৭নং, ত্বাবা,হাকেম, মুস্তাদরাক)
সুতরাং বাধা দেওয়া ওয়াজেব এবং তাতে একটু নড়া-সরা দূষণীয় নয়।