ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
স্বালাতে মুবাশ্‌শির মসজিদ ও নামায পড়ার জায়গা আবদুল হামীদ ফাইযী
মসজিদের প্রতি আসক্তি ও তথায় অবস্থানের ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

إِنّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ آمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللهَ، فَعَسَى أُولئِكَ أَنْ يَّكُوْنُوْا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ

অর্থাৎ, নি:সন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে, যারা আল্লাহতে ও পরকালে ঈমান রাখে, নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে, আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারা সৎপথপ্রাপ্তদের দলভুক্ত হবে। (কুরআন মাজীদ ৯/১৮)

আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না; (তারা হল,)
১। ন্যায় পরায়ণ বাদশাহ্‌ (রাষ্ট্রনেতা),
২। সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ আযযা অজাল্লার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদ সমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।)
৩। সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালোবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালোবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়।
৪। সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহ্বান করে কিন্তু সে বলে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি।
৫। সেই ব্যক্তি যে দান করে গোপন করে; এমনকি তার ডানহাত যা প্রদান করে তা তার বাম হাত পর্যন্তুও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়।” (বুখারী ৬৬০নং, মুসলিম, সহীহ ১০৩১নং)

“কোন ব্যক্তি যখন যিক্‌র ও নামাযের জন্য মসজিদে অবস্থান করা শুরু করে তখনই আল্লাহ তাআলা তাকে নিয়ে সেইরুপ খুশী হন যেরুপ প্রবাসী ব্যক্তি ফিরে এলে তাকে নিয়ে তার বাড়ির লোক খুশী হয়।” (ইআশা:, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, ইবনে হিব্বান, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক, সহিহ তারগিব ৩২২নং)

“মসজিদ প্রত্যেক পরহেযগার (ধর্মভীরু) ব্যক্তির ঘর। আর যে ব্যক্তির ঘর মসজিদ সেই ব্যক্তির জন্য আল্লাহ আরাম, করুণা এবং তার সন্তুষ্টি ও জান্নাতের প্রতি পুলসিরাত অতিক্রম করে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন।” (ত্বাবারানী, মু’জাম কাবীর ও আওসাত্ব, বাযযার, সহিহ তারগিব ৩২৫ নং)

“যখন তোমাদের মধ্যে কেউ নিজ ঘরে ওযু করে মসজিদে আসে, তখন ঘরে না ফিরা পর্যন্ত সে নামাযেই থাকে। সুতরাং সে যেন হাতের আঙ্গুলগুলোর মাঝে খাঁজাখাঁজি না করে।” (হাকেম, মুস্তাদরাক, মিশকাত ৯৯৪, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১২৯৪নং)

“যে ব্যক্তি ওযু করে মসজিদে আসে, সে ব্যক্তি আল্লাহর মেহ্‌মান। আর মেজবানের দায়িত্ব হল, মেহ্‌মানের খাতির করা।” (সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১১৬৯ নং)

খেয়াল রাখার কথা যে, ই’তিকাফে বসা ছাড়া অন্যান্য দিনে মসজিদের মধ্যে নামাযের জন্য কোন এক কোণ বা স্থানকে নির্দিষ্ট করা বৈধ নয়। কারণ, মহানবী (ﷺ) নিষেধ করেছেন কাকের দানা খাওয়ার মত (ঠকঠক করে) নামায পড়তে, নামাযে হিংস্র জন্তুদের মত হাত বিছিয়ে বসতে এবং উট যেমন একই স্থানকে নিজের জায়গা বানিয়ে নেয়, তেমনি মসজিদে নির্দিষ্ট জায়গা বানাতে। (আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, ইবনে হিব্বান, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক, আহমাদ, মুসনাদ, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১১৬৮নং)