এই শ্রেণীর লোকেরা আল্লাহ ও তার রাসুল (সঃ) এর অবাধ্য। এদের ইমান সবচেয়ে দুর্বল। তাদের হৃদয়ে আছে বিপদজনক ব্যাধি। তারা বিলম্বে অথবা অবিলম্বে আল্লাহর শাস্তি বা আজাবের উপযুক্ত। মহান আল্লাহ বলেছেন, "আর তিনি কিতাবে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর কোন আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিদ্রূপ করা হচ্ছে, তখন যে পর্যন্ত তারা অন্য প্রসঙ্গে আলোচনায় লিপ্ত না হয় তোমরা তাদের সাথে বসো না; নচেৎ তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ কপট ও অবিশ্বাসী সকলকেই জাহান্নামে একত্র করবেন। (নিসাঃ ১৪০)
তুমি যখন দেখ, তারা আমার নিদর্শন সম্বন্ধে ব্যাঙ্গ আলোচনায় মগ্ন হয়, তখন তুমি দুরে সরে পড়, যে পর্যন্ত না তারা অন্য প্রসঙ্গে আলোচনায় প্রবৃত্ত হয় এবং শয়তান যদি তোমাকে ভ্রমে ফেলে, তাহলে স্মরণ হওয়ার পরে তুমি অত্যাচারী সম্প্রদায়ের সাথে বসবে না। (আনআমঃ ৬৮)
বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা অবিশ্বাস করেছিল, তারা দাউদ ও মারয়্যাম তনয় কর্তৃক অভিশপ্ত হয়েছিল। কেননা, তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘনকারী। তারা যেসব খারাপ কাজ করত, তা থেকে তারা একে অন্যকে বারণ করত না। তারা যা করত, নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট। (মায়িদাহঃ ৭৮-৭৯)
আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন খারাপ কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)। আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ইমাম।” (মুসলিম)
“আমার পূর্বে যে উম্মতের মাঝেই আল্লাহ নবী প্রেরণ করেছেন সেই নবীরই তার উম্মতের মধ্য হতে খাস ভক্ত ও সহচর ছিল, যারা তার তরীকার অনুগামী ও প্রত্যেক কর্মের অনুসারী ছিল। অতঃপর তাদের পর এমন অসৎ উত্তরসূরিদের আবির্ভাব হয়, যারা তা বলে নিজে করে না এবং তা করে যা করতে তারা আদিষ্ট নয়। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ হস্ত দ্বারা জিহাদ (সংগ্রাম) করে, সে মুমিন, যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ জিহবা দ্বারা জিহাদ করে, সে মুমিন। আর এর পশ্চাতে (অর্থাৎ ঘৃণা না করলে কারো হৃদয়) সরিষা দানা পরিমাণও ঈমান থাকতে পারে না।” (মুসলিম ৫০ নং)
“লোকেরা যখন কোন খারাপ (শরিয়ত পরিপন্থী) কাজ দেখেও তার পরিবর্তন সাধনে যত্নবান হয় না, তখন অনতিবিলম্বে আল্লাহ তাদের জন্য তাঁর কোন শাস্তিকে ব্যাপক করে দেন।” ( আহমাদ, আবু দাউদ ৪৩৩৮, তিরমিজি ৩০৫৭, ইবনে হিব্বান, সহিহ ইবনে মাজাহ ৩২৩৬ নং)