ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
সহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ ভূমিকা এবং জরুরী জ্ঞাতব্য আবূ মালিক কামাল বিন আস-সাইয়্যিদ সালিম
প্রথম সতর্কবাণী: কুরআন ও সুন্নাহর উপর আমল করা ওয়াজিব

প্রথম সতর্কবাণী: কুরআন ও সুন্নাহর উপর আমল করা ওয়াজিব[1]

জেনে রাখা আবশ্যক যে, কুরআন ও সুন্নায় বহু দলীল রয়েছে। সুতরাং সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির উচিৎ একতাবদ্ধ হয়ে কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাতে রাসূল (ﷺ) এর উপর আমল করা।

আল্লাহ্‌ তা‘আলা বলেন:

﴿اتَّبِعُوا مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ قَلِيلًا مَا تَذَكَّرُونَ﴾

তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ হতে যা নাযিল করা হয়েছে, তা অনুসরণ কর এবং তাকে ছাড়া অন্য অভিভাবকের অনুসরণ করো না। তোমরা সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর (সূরা : আল আ‘রাফ-৩) ।

‘‘আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর যা অবতীর্ণ করেছেন’’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, ‘কুরআন’ এবং এর ব্যাখ্যাকারী গ্রন্থ ‘হাদীস’। কোন মানুষের মতামত নয়। আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا إِلَى مَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَإِلَى الرَّسُولِ رَأَيْتَ الْمُنَافِقِينَ يَصُدُّونَ عَنْكَ صُدُودًا﴾

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা আস যা আল্লাহ্‌ নাযিল করেছেন তার দিকে এবং রাসূলের দিকে, তখন মুনাফিকদেরকে দেখবে তোমার কাছ থেকে সম্পূর্ণরূপে ফিরে যাচ্ছে (সূরা : আন-নিসা-৬১) ।

এ আয়াত এ কথাই প্রমাণ করছে যে, যখন তাকে কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করার আহবান জানানো হয় তখন তা থেকে যে বিমুখ হয় তার চরিত্র সম্পূর্ণ মুনাফিকের মত। কেননা উপদেশ দেয়া হয় আম শব্দের মাধ্যমে, বিশেষ কারণের দ্বারা নয়। আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ﴾

অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ্‌ ও রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন কর- যদি তোমরা আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ (সূরা : আন-নিসা-৫৯)।


আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) এর দিকে প্রত্যাবর্তন করার অর্থ হল, তাঁর কিতাবের দিকে প্রত্যাবর্তন করা। আর রাসূল (ﷺ) এর মৃত্যুর পর তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করার অর্থ হল তাঁর সুন্নাতের দিকে প্রত্যাবর্তন করা।

আর এ বিষয়টিকে ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত করে বলা হচ্ছে যে,

إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ

অর্থাৎ, যদি তোমরা আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান রাখ। তথা দ্বন্দ্ব নিরসনকে কিতাবুলস্নাহ ও সুন্নাতে রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন করাই হল প্রকৃত ঈমানের পরিচয়। সুতরাং এ থেকে বুঝা যায় যে, যদি কেউ দ্বন্দ্ব নিরসনে কিতাব ও সুন্নাহ ছাড়া অন্যের দিকে প্রত্যাবর্তন করে তাহলে সে ঈমানদার নয়।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَاتَّبِعُوا أَحْسَنَ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ بَغْتَةً وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ﴾

তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে আযাব আসার পূর্বেই তোমাদের কাছে রবের পক্ষ থেকে যে উত্তম ওহী নাযিল করা হয়েছে তার অনুসরণ কর (সূরা যুমার-৫৫)।

নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, কুরআন হল সর্বোত্তম কিতাব যা আমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর সুন্নাত হল, কুরআনের ব্যাখ্যাকারী। আমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে যে উত্তম কিতাব আমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে, যারা তার অনুসরণ করবে না তাদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারী দিয়ে আল্লাহ্‌ বলেছেন:

﴿مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ بَغْتَةً وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ﴾

তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে আযাব আসার পূর্বেই (সূরা যুমার-৫৫)। আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ وَأُولَئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ ﴾

যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে অতঃপর এর যা উত্তম তা অনুসরণ করে তাদেরকেই আল্লাহ্‌ হিদায়াত দান করেন আর তারাই বুদ্ধিমান (সূরা যুমার-১৮)।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, কোন ব্যক্তির মতামতের চেয়ে কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাতে রাসূল (ﷺ) অতি উত্তম। আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ﴾

রাসূল তোমাদের যা দেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে তিনি তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহ্‌কেই ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ শাস্তি প্রদানে কঠোর (সূরা হাশর-৭) ।

আল্লাহ্‌র বাণী:

‘‘ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ ’’

এর মাধ্যমে যারা সুন্নাতে রাসূলের প্রতি আমল করবে না তাদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারী দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যারা মনে করবে যে, অনুসরণের জন্য কোন ব্যক্তির মতামতই যথেষ্ট।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا﴾

অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ্‌ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহ্‌কে অধিক স্মরণ করে (সূরা : আল-আহযাব-২১)।

এখানে ‘أُسْوَةٌ’ অর্থ أقتداء তথা অনুসরণ করা। সুতরাং মুসলমানের উচিৎ রাসূল (ﷺ) এর আদর্শে জীবন গঠন করা। আর এটাই হবে তাঁর সুন্নাতের অনুসরণ।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا﴾

তোমার প্রতিপালকের শপথ তারা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদ নিরসনে তোমাকে বিচারক মানবে, অতঃপর তোমার মীমাংসায় নিজেদের মনে কোন সংকীর্ণতা অনুভব করবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে মেনে নিবে (সূরা নিসা-৬৫)।

আল্লাহ্‌ তায়ালা অত্র আয়াতে কসম করে বলছেন যে, তারা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের বিতর্কিত বিষয়ের ফায়সালা রাসূল (ﷺ) এর মাধ্যমে গ্রহণ করবে।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿فَإِنْ لَمْ يَسْتَجِيبُوا لَكَ فَاعْلَمْ أَنَّمَا يَتَّبِعُونَ أَهْوَاءَهُمْ وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنِ اتَّبَعَ هَوَاهُ بِغَيْرِ هُدًى مِنَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ﴾

অতঃপর তারা যদি তোমার আহবানে সাড়া না দেয়, তাহলে জেনে রাখ, তারা তো নিজেদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করে। আর আল্লাহ্‌র দিকনির্দেশনা ছাড়া যে নিজের খেয়াল খুশির অনুসরণ করে তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ্‌ যালিম কওমকে হিদায়াত করেন না (সূরা : কাসাস-৫০)।


রাসূল (ﷺ) এর মৃত্যুর পর তার অনুসরণ করা বলতে তাঁর সুন্নাতের দিকে প্রত্যাবর্তন করাকে বুঝায়। এ সুন্নাতই হল কিতাবুলস্নাহর ব্যাখ্যাকারী। মহাগ্রন্থ কুরআনে এসেছে যে, নিশ্চয়ই রাসূল (ﷺ) ওহী ছাড়া কোন কিছুর অনুসরণ করতেন না। আর যে রাসূল (ﷺ) এর আনুগত্য করল সে যেন স্বয়ং আল্লাহ্‌রই আনুগত্য করল।

মহান আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿قُلْ مَا يَكُونُ لِي أَنْ أُبَدِّلَهُ مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِي إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ إِنِّي أَخَافُ إِنْ عَصَيْتُ رَبِّي عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ﴾

বল, আমার নিজের পক্ষ থেকে এতে কোন পরিবর্তনের অধিকার নেই। আমিতো শুধু আমার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর অনুসরণ করি। নিশ্চয় আমি যদি রবের অবাধ্য হই তবে ভয় করি কঠিন দিবসের আযাবের (ইউনুস-১৫)।

তিনি আরও বলেন:

﴿قُلْ لَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ﴾

বল, ‘তোমাদেরকে আমি বলি না, আমার নিকট আল্লাহ্‌র ভা-ারসমূহ রয়েছে এবং আমি গায়েব জানি এবং তোমাদেরকে বলি না, নিশ্চয় আমি ফেরেশতা। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি যা আমার নিকট ওহী প্রেরণ করা হয়’ (সূরা : আনআম-৫০)।

তিনি সূরা আহকাফ এর মধ্যে বলেন:

﴿قُلْ مَا كُنْتُ بِدْعًا مِنَ الرُّسُلِ وَمَا أَدْرِي مَا يُفْعَلُ بِي وَلَا بِكُمْ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ وَمَا أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُبِينٌ﴾

বল, ‘আমি রাসূলদের মধ্যে নতুন নই। আর আমি জানি না আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে। আমার প্রতি যা ওহী করা হয়, আমি কেবল তারই অনুসরণ করি। আর আমি একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র (সূরা আহকাফ-৯)।

আল্লাহ্‌ সূরা আম্বিয়ার মধ্যে বলেন:

﴿قُلْ إِنَّمَا أُنْذِرُكُمْ بِالْوَحْيِ وَلَا يَسْمَعُ الصُّمُّ الدُّعَاءَ إِذَا مَا يُنْذَرُونَ﴾

বল, ‘আমি তো কেবল ওহী দ্বারাই তোমাদেরকে সতর্ক করি’। কিন্তু যারা বধির তাদেরকে যখন সতর্ক করা হয়, তখন তারা সে আহবান শুনে না (সূরা আম্বিয়া-৪৫)।


সুতরাং ভীতি প্রদর্শন শুধু ওহীর মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ, অন্য কিছুর মাধ্যমে নয়।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿قُلْ إِنْ ضَلَلْتُ فَإِنَّمَا أَضِلُّ عَلَى نَفْسِي وَإِنِ اهْتَدَيْتُ فَبِمَا يُوحِي إِلَيَّ رَبِّي إِنَّهُ سَمِيعٌ قَرِيبٌ﴾

বল, ‘যদি আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাই তবে আমার অকল্যাণেই আমি পথভ্রষ্ট হব। আর যদি আমি হিদায়াত প্রাপ্ত হই তবে তা এজন্য যে, আমার রব আমার প্রতি ওহী প্রেরণ করেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও অতি নিকটবর্তী (সূরা : সাবা-৫০)।


সুতরাং বুঝা গেল যে, ওহীর পথই হল হিদায়াতের পথ। এরূপ আরও অনেক আয়াত রয়েছে। যখন উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল যে, রাসূল (ﷺ) এর পথ হল, ওহীর অনুসরণ করা। সুতরাং জানা আবশ্যক যে, কুরআন রাসূল (ﷺ) এর আনুগত্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আর রাসূল (ﷺ) এর আনুগত্য করা মানে আল্লাহ্‌র আনুগত্য করা।

যেমন আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ﴾

যে রাসূল (ﷺ) এর আনুগত্য করল সে আল্লাহ্‌রই আনুগত্য করল (নিসা-৮০)।

আল্লাহ্‌ আরও বলেন:

﴿قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ﴾

বল, যদি তোমরা আল্লাহ্‌কে ভালোবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে ভালবাসবেন (সূরা আলে ইমরান-৩১)।

আল্লাহ্‌ কারও যিম্মাদারী নেন নি যে, দুনিয়াতে সে পথ ভ্রষ্ট হবে না এবং আখিরাতে হতভাগা হবে না। বরং যিম্মাদারী নিয়েছেন শুধু ওহীর অনুসারীদের।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقَى﴾

অতঃপর যখন তোমাদের কাছে আমার পক্ষ থেকে হিদায়াত আসবে, তখন যে আমার হিদায়াতের অনুসরণ করবে সে বিপথগামী হবে না এবং দুর্ভাগাও হবে না (সূরা ত্বহা-১২৩)।

সূরা ত্বহা এর অত্র আয়াতটি প্রমাণ করে যে, ওহীর অনুসারী কখনও পথভ্রষ্ট হবে না এবং হতভাগা হবে না। সূরা বাক্বারার আয়াত প্রমাণ করছে যে, ওহীর অনুসারীদের কোন ভয় নেই এবং চিন্তাও নেই।

যেমন আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنْ تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ﴾

অতঃপর যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোন হিদায়াত আসবে, তখন যারা আমার হিদায়াত অনুসরণ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না (সূরা বাক্বারা-৩৮)।


নিঃসন্দেহে ওহীর অনুসারীগণ পথভ্রষ্ট ও হতভাগা নয় এবং তাদের কোন ভয় ও চিন্তা নেই। কুরআনের বাণী দ্বারা এটা স্পষ্ট বুঝা যায়। কোন আলিমের অন্ধ অনুসরণের মাধ্যমে এটা অর্জন করা সম্ভব নয়। কারণ সে আলিম নিষ্পাপ নন। সে জানে না, সে যার তাক্বলীদ করছে সে সঠিক কথা বলছে না ভুল কথা বলছে। এটা ঐ আলিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে, কুরআন ও সুন্নাহ অনুধাবন করা থেকে বিমুখ থাকে। বিশেষ করে যে কুরআন ও হাদীসকে এড়িয়ে গিয়ে তাক্বলীদকৃত আলিমের মতামতকে যথেষ্ট মনে করবে।

কুরআনের বহু সংখ্যক আয়াত প্রমাণ করছে যে, ওহীর অনুসরণ ও তার প্রতি আমল করা আবশ্যক। অনুরূপ ভাবে বহু সংখ্যক হাদীস দ্বারাও কিতাবুলস্নাহ ও সুন্নাতে রাসূল (ﷺ) এর উপর আমল করা আবশ্যক বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। কেননা রাসূলের আনুগত্য করা আল্লাহ্‌র আনুগত্যের নামান্তর।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ﴾

রাসূল তোমাদের যা দেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে তিনি তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহ্‌কেই ভয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শাস্তি প্রদানে কঠোর (সূরা হাশর-৭) ।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ﴾

আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ্‌ ও রাসূলের, যাতে তোমাদের উপর দয়া করা হয় (সূরা আল ইমরান-১৩২)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿قُلْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْكَافِرِينَ﴾

বল, তোমরা আল্লাহ্‌ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ কাফিরদেরকে ভালবাসেন না (সূরা আল ইমরান-৩২)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَأُولَئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ﴾

আর যারা আল্লাহ্‌ ও রাসূলের আনুগত্য করে তারা তাদের সাথে থাকবে, আল্লাহ্‌ যাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন (সূরা : আন-নিসা-৬৯)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا﴾

আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই এক মহা সাফল্য অর্জন করল (সূরা : আহযাব-৭১)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا﴾

যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহ্‌রই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করি নি (সূরা : আন-নিসা-৮০)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ﴾

হে মু’মিনগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ্‌র ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্য থেকে কর্তৃত্বের অধিকারীদের। অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ্‌ ও রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন কর- যদি তোমরা আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ (সূরা : আন-নিসা-৫৯)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ ۞ وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ ﴾

এগুলো আল্লাহ্‌র সীমারেখা। আর যে আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহ্‌ তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতসমূহে যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর এটা মহা সফলতা । আর যে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে এবং তাঁর সীমারেখা লঙ্ঘন করে আল্লাহ্‌ তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর তার জন্যই রয়েছে অপমানজনক আযাব (আন-নিসা-১৩,১৪)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَاحْذَرُوا فَإِنْ تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّمَا عَلَى رَسُولِنَا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ﴾

আর তোমরা আল্লাহ্‌র আনুগত্য কর এবং আনুগত্য কর রাসূলের এবং সাবধান হও। তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রাখ যে, আমার রাসূলের দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্ট প্রচার করা (মায়েদা-৯২)। আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ﴾

আর আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর, যদি তোমরা মু’মিন হও (সূরা : আনফাল-১)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿قُلْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا عَلَيْهِ مَا حُمِّلَ وَعَلَيْكُمْ مَا حُمِّلْتُمْ وَإِنْ تُطِيعُوهُ تَهْتَدُوا وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ﴾

বল, ‘তোমরা আল্লাহ্‌র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর।’ তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি শুধু তার উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য দায়ী এবং তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী। আর যদি তোমরা তার আনুগত্য কর, তবে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। আর রাসূলের দায়িত্ব শুধু স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া (সূরা : নূর-৫৪)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ﴾

আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হতে পার (সূরা : নূর-৫৬)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَلَا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ﴾

হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্‌র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর। আর তোমরা তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট করো না (সূরা মুহাম্মাদ-৩৩)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِينَ إِذَا دُعُوا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَنْ يَقُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ۞ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللَّهَ وَيَتَّقْهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ﴾

মু’মিনদের কথা এই যে, যখন তাদেরকে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের প্রতি এ মর্মে আহবান করা হয় যে, তিনি তাদের মাঝে বিচার মীমাংসা করবেন, তখন তারা বলে: ‘আমরা শুনলাম ও আনুগত্য করলাম।’ আর তারাই সফলকাম। আর যে কেউ আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহ্‌কে ভয় করে এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য (সূরা : নূর-৫১-৫২)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا﴾

অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ্‌ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহ্‌কে অধিক স্মরণ করে (সূরা : আল-আহযাব-২১)।

আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ أُولَئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّهُ﴾

আর মু’মিন পুরুষ এবং মু’মিন নারীরা একে অপরের বন্ধু, তারা ভাল কাজের আদেশ দেয় আর অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে, আর তারা সালাত কায়িম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। এদেরকে আল্লাহ্‌ শীঘ্রই দয়া করবেন (সূরা : তাওবা-৭১)।

নিঃসনেদহে বিদ্বানদের মতে, উল্লেখিত আয়াতসমূহ দ্বারা এবং ওহী সংক্রান্ত অনুরূপ আরও আয়াত দ্বারা এ কথা প্রমাণিত যে, আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) এর প্রতি আনুগত্য করা কিতাবুলস্নাহ ও সুন্নাতে রাসূল (ﷺ) এর প্রতি আমল করার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

সুতরাং কুরআন ও সুন্নাহর দলীলসমূহ প্রমাণ করছে যে, ওহীর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা, তা নিয়ে গবেষণা, সে ব্যাপারে জ্ঞানার্জন ও তার প্রতি আমল করা আবশ্যক।

অতএব এ সমস্ত দলীল দ্বারা ওহীর ব্যাপারে চিন্তা করা, গবেষণা করা ও তার উপর আমল করার দাবীকে খাস করা বিশুদ্ধ হবে না নির্দিষ্ট মুজতাহিদগণ ছাড়া। যারা ইজতিহাদের এমন শর্তসমূহ একত্রিত করেছেন, যা পরবর্তী উসূলবীদগণের নিকট সুপরিচিতি, যেটি এমন দলীলের মুখাপেক্ষী যার দিকে প্রত্যাবর্তন করা আবশ্যক। অবশ্য এ নীতিমালাটির ব্যাপারে কোন দলীল নেই।

আর কুরআন ও সুন্নাহ প্রমাণ করে যে, ওহীর ব্যাপারে চিন্তা ও গবেষণা করা আবশ্যক এবং তা থেকে যে শিক্ষা অর্জন করা হবে তার উপর আমল করা ওয়াজিব। যে জ্ঞানটি অর্জন করা হবে, তা যেন বিশুদ্ধ জ্ঞান হয়। চাই তা অল্পই হোক বা বেশি হোক।

অনুরূপভাবে সাহাবাগণ কোন ব্যক্তির কথার কারণে রাসূল (ﷺ) এর সুন্নাত পরিত্যাগ করেন নি। সে যে মাপেরই লোক হোক না কেন। বরং ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন- ‘‘আমি আশঙ্কা করছি যে, তোমাদের উপর আসমান থেকে পাথর পড়তে পারে, আমি বলছি আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আর তোমরা বলছ আবূ বকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) বলেছেন?!’’

শাইখদ্বয়, তথা আবূ বকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) যখন কোন মাসআলা সম্পর্কে জানতেন না তখন মানুষদেরকে আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) এর হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। একদা আবূ বকর (রাঃ) বলেন: আমি রাসূল (ﷺ) কে দাদীর অংশ সম্পর্কে কিছু বলতে শুনি নি। তাই তিনি যুহরের সালাত শেষ করে জনগণকে প্রশ্ন করলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি দাদীর অংশ সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) কে কিছু বলতে শুনেছ? তখন মুগীরাহ্ বিন শু’বাহ (রাঃ) বললেন যে, আমি শুনেছি। আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) তাকে এক-ষষ্ঠাংশ দিয়েছেন। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) বললেন, তুমি ব্যতীত আর কেউ কি এ কথা শুনেছে? মুহাম্মাদ বিন মুসালিস্নমাহ (রাঃ) বললেন, মুগীরা (রাঃ) সত্য কথাই বলেছেন। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) এক ষষ্ঠাংশ প্রদান করলেন।

নতুন চাঁদ উঠার ব্যাপারে উমার (রাঃ) মানুষকে প্রশ্ন করার ঘটনাটি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। অতঃপর তিনি মুগীরাহ (রাঃ) এর খবরের দিকে ফিরে গেছেন। উমার (রাঃ) জনগণকে মহামারী সম্পর্কে আরেকটি প্রশ্ন করেছিলেন এবং তিনি আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) এর খবরের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। এছাড়া এ ব্যাপারে আরও বহু প্রসিদ্ধ ঘটনা রয়েছে, যা হাদীসের গ্রন্থগুলোতে বর্ণিত হয়েছে।

[1] ‘আযওয়াউল বায়ান’ (৭/৪৭৯-৪৮৫) ।