যদি কারো এই মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে খুব বেশী সন্দেহ থাকে, তাহলে
اَللَّهُمَّ إِنْ كَانَ مُؤْمِنًا فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ
‘হে আল্লাহ! সে যদি মুমিন হয়, তাহলে তাকে তুমি ক্ষমা কর এবং তার প্রতি রহমত বর্ষণ কর’ বললে কোন সমস্যা নেই। তবে সন্দেহ জোরালো না হলে শর্ত করবে না। কেননা মুসলিমদের আসল অবস্থা হল, তারা ইসলামের উপরেই আছে। দো‘আয় অনুরূপ শর্তারোপের ভিত্তি শরী‘আতে রয়েছে। লি‘আনের ক্ষেত্রে স্বামী যখন তার স্ত্রীকে অভিশাপ করবে, তখন পঞ্চমবার বলবে,
﴿أَنَّ لَعْنَتَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِن كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ﴾ [سورة النور: 7]
‘যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার উপর আল্লাহ্র লা‘নত’ (নূর ৭)। অনুরূপভাবে স্ত্রীও পঞ্চমবার বলবে,
﴿أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِن كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ﴾ [سورة النور: 9]
যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয়, তবে তার নিজের উপর আল্লাহ্র গযব নেমে আসবে’ (নূর ৯)।
সা‘দ ইবনে আবু ওয়াক্কাছ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক অনুরূপ শর্তারোপের ঘটনা ঘটেছে। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগকারী সম্পর্কে বলেন, ‘হে আল্লাহ এই ব্যক্তি যদি লোক দেখানো এবং সুনাম অর্জনের জন্য অভিযোগ করতে দাঁড়ায়, তাহলে তুমি তার চোখ অন্ধ করে দাও, তার বয়স বৃদ্ধি করে দাও এবং তাকে তুমি ফেতনা-ফাসাদের সম্মুখীন কর’।[1] আর তা দুবা‘আহ বিনতে যুবায়ের (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা)-এর উদ্দেশ্যে বলা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি
«إِنَّ لَكِ عَلَى رَبِّكِ مَا اسْتَثْنَيْتِ»
‘তোমার রব তোমার কৃত শর্ত অনুযায়ীই ফল দিবেন’-এরও অন্তর্ভুক্ত।[2]
[2]. দারেমী, ‘মানাসিক’ অধ্যায়, হা/১৮১১; হাদীছটি মূলতঃ বুখারী এবং মুসলিমেও রয়েছে: বুখারী, ‘বিবাহ’ অধ্যায়, হা/৫০৮৯; মুসলিম, ‘হজ্জ’ অধ্যায়, হা/১২০৮।