না, জায়েয নয়; বরং উভয়ই হারাম। যদি কেউ আল্লাহ ব্যতীত কোনো কবরের ইবাদত করে বা কবরবাসীর নিকট দো‘আ করে অথবা তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে, তাহলে তা ‘বড় শির্ক’-এর অন্তর্ভুক্ত গণ্য হবে। পক্ষান্তরে যদি কবরের উপর বা কবরকে কেন্দ্র করে মসজিদ নির্মাণ করে বা মসজিদের ভেতরে মৃতকে দাফন করে, কিন্তু কবরবাসীর উদ্দেশ্যে কোনো প্রকার ইবাদত না করে, তথাপিও তা গর্হিত কাজ হিসাবে এবং শির্কে পতিত হওয়ার বড় একটি মাধ্যম হিসাবে গণ্য হবে। মনে রাখতে হবে, কবরের উপরে নির্মিত মসজিদে ছালাত জায়েয হবে না; বরং এ জাতীয় নির্মাণ হারাম। আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মৃত্যুশয্যায় শায়িত অবস্থায় বলেন,
«لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا»
“আল্লাহ ইয়াহূদ এবং নাছারাদের উপর অভিশাপ করুন, কারণ তারা তাদের নবীগণের কবরসমূহকে মসজিদ হিসাবে গ্রহণ করেছে।” আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) বলেন, ইয়াহূদী-খৃষ্টানদের এহেন কর্মকাণ্ড থেকে সতর্ক করার জন্য তিনি একথা বলেছেন (বুখারী ও মুসলিম)।
জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর পাঁচ দিন আগে বলেন,
«أَلاَ وَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانُوا يَتَّخِذُونَ قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ وَصَالِحِيهِمْ مَسَاجِدَ أَلاَ فَلاَ تَتَّخِذُوا الْقُبُورَ مَسَاجِدَ إِنِّى أَنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ»
“সাবধান! তোমাদের পূর্ববর্তীরা তাদের নবী এবং নেককার মুমিনগণের কবরসমূহকে মসজিদ হিসাবে গ্রহণ করতো! খবরদার! তোমরা কবরসমূহকে মসজিদ হিসাবে গ্রহণ করো না। কেননা আমি তোমাদেরকে এ থেকে নিষেধ করছি” (মুসলিম)।
অতএব, মসজিদের উপর বা মসজিদকে কেন্দ্র করে নির্মিত কবর ভেঙ্গে ফেলা ওয়াজিব। আর মসজিদের ভেতরে মৃতকে দাফন করা হলে মসজিদ ভাঙতে হবে না; বরং কবর খনন করে মৃতকে সেখান থেকে সরিয়ে সাধারণ কবরস্থানে দাফন করতে হবে।