নিহত রাজা যোরামের মাতা ছিলেন পূর্ববর্তী রাজা আহাবের স্ত্রী ঈষেবল বা জিযবল (Jezebel)। উপরে বাইবেল তার দুটো অপাধের কথা বলেছে: বেশ্যাবৃত্তি (whoredoms) ও যাদুবিদ্যা চর্চা (witchcrafts)। বাইবেলে অন্যত্র তার আরো অপরাধের কথা লেখা হয়েছে। তিনি মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে একজন নিরপরাধকে হত্যা করেন এবং তার সম্পদ দখল করেন। (১ বাদশাহনামা ২১ অধ্যায়)। আমরা দেখেছি যে, ঈশ্বর যেহূকে রাজপদে অভিষিক্ত করে মূল দায়িত্ব দেন আহাবের পরিবারকে হত্যা করতে। এ ধারায় যেহু ঈষেবলকেও হত্যা করেন। তবে হত্যা প্রক্রিয়াটা খুবই নির্মম: ‘‘এরপর যেহূ যিষ্রিয়েলে গেলেন। ঈষেবল সেই কথা শুনে চোখে কাজল দিয়ে ও সুন্দর করে চুল বেঁধে জানালা দিয়ে চেয়ে দেখলেন। যেহূ যখন দরজা দিয়ে ঢুকছিলেন তখন ঈষেবল তাকে বললেন, ‘ওহে সিম্রির মত খুনী, নিজের মালিকের হত্যাকারী! তোমার আসার উদ্দেশ্য কি ভাল?’ যেহূ তখন উপরে জানালার দিকে চেয়ে বললেন, ‘আমার পক্ষে কে আছে? কে আছে?’ তখন দুই-তিনজন খোজা উপর থেকে তাঁর দিকে চেয়ে দেখল। যেহূ বললেন, ‘ওকে নিচে ফেলে দাও।’ তখন তারা ঈষেবলকে নিচে ফেলে দিল আর যেহূর রথের ঘোড়াগুলো তাঁকে পায়ে মাড়িয়ে গেল। তাতে তাঁর রক্ত ছিটকে গিয়ে দেয়ালে আর ঘোড়ার গায়ে লাগল। তারপর যেহূ ভিতরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করলেন। পরে তিনি বললেন, তোমরা ঐ বদদোয়া প্রাপ্ত স্ত্রীলোকটিকে দাফন করবার ব্যবস্থা কর, কারণ সে একজন রাজকন্যা ছিল।’ কিন্তু লোকেরা যখন তাঁকে দাফন করবার জন্য বাইরে গেল তখন তার মাথার খুলি, হাত ও পা ছাড়া আর কিছুই পেল না।’’ (২ বাদশাহনামা ৯/৩০-৩৫)