‘‘স্ত্রীলোকের নিয়মিত মাসিকের রক্তের দরুন নাপাক অবস্থা সাত দিন ধরে চলবে। এই সময় যে তাকে ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সে যেটার উপর শোবে বা বসবে তা সবই নাপাক হবে । যে তার বিছানা ছোঁবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে। সেই স্ত্রীলোক যার উপর বসেছে তা যদি কেউ ছোঁয় তবে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে তাকে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে। তার বিছানা বা আসন যে ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। যদি কোন পুরুষ এইরকম স্ত্রীলোক নিয়ে শোয় এবং তার মাসিকের রক্ত তার গায়ে লাগে তবে সে সাত দিন পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। এই সাত দিনের মধ্যে সে যে বিছানায় শোবে তাও নাপাক হবে। মাসিক ছাড়াও যদি কোন স্ত্রীলোকের অনেক দিন ধরে রক্তস্রাব হতে থাকে কিংবা মাসিকের নিয়মিত সময় পার হয়ে যাবার পরেও যদি তার স্রাব হতে থাকে তবে যতদিন ধরে তা চলবে ততদিন পর্যন্ত সে তার মাসিকের সময়ের মতই নাপাক অবস্থায় থাকবে। মাসিকের সময়ে যেমন হয় তেমনি এই স্রাবের সময়েও সে যে বিছানায় শোবে এবং যার উপর বসবে তা নাপাক হবে। যে সেই বিছানা বা আসন ছোঁবে সেও নাপাক হবে; তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে। তার সেই রক্তস্রাব থেমে যাবার পরেও তাকে গুণে সাতটা দিন কাটাতে হবে এবং ঐ দিনেই সে পাক-সাফ হবে।’’ (লেবীয় ১৫/১৯-২৮)
এ সকল বিধানে বিছানা, পাত্র ইত্যাদি স্পর্শ করলে নাপাক হওয়া এবং গোসলের পরেও সন্ধ্যা পর্যন্ত বা সাত দিন নাপাক থাকা, স্পর্শ করা পাত্র ভেঙে ফেলা ইত্যাদি বিষয় লক্ষণীয়। এরূপ ব্যক্তি কোনো একটা পাত্র স্পর্শ করলেই সে পাত্রের মধ্যে রোগব্যাধি বা অপবিত্রতা ছড়িয়ে পড়ার বিশ্বাস মেনে নেওয়া কঠিন। এরপরও যদি কল্পনা করা হয় যে, উক্ত পাত্রের মধ্যে অসুস্থতা বা অপবিত্রতা ছড়িয়ে পড়েছে, তবে সেক্ষেত্রে তো পাত্রটা ধৌত করলেই হত, যেমনভাবে কাঠের পাত্র ধৌত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভেঙ্গে ফেলার কী প্রয়োজন? বীর্যপাতের পর কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করার পরেও সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক থাকার অর্থ কী? ঋতুবতী রমণী কোনো কিছুর উপর বসলেই তাতে তার ঋতুস্রাবের রক্ত লেগে যাওয়া জরুরি নয়। এরপর সে আসন স্পর্শ করলে স্পর্শকারীর দেহের মধ্যে ঋতুস্রাবের রক্ত বা অপবিত্রতা ছড়িয়ে পড়ার বিশ্বাস মেনে নেওয়া কঠিন। এরপরও যদি কল্পনা করা হয় যে, স্পর্শকারীর দেহের মধ্যে অপবিত্রতা সঞ্চারিত হয়েছে, তবে স্পর্শকারীর দেহ ও কাপড়-চোপড় পুরোপুরি ধৌত করলেই তো হল। দেহ ও পোশাক ধৌত করার পরেও সন্ধ্যা পর্যন্ত তার নাপাক থাকার অর্থ কী? সবচেয়ে মজার বিষয় যে, কোনো পুরুষ যদি স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় বা স্বপেণ বীর্যপাত করে তবে তাকে তার পোশাক ধৌত করতে হয় না, শুধু নিজে স্নান করলেই হবে। অথচ ঋতুবতীর আসন স্পর্শ করলে তাকে স্নান করা ছাড়াও নিজের পোশাকও ধৌত করতে হবে।