কোনো গরু যদি কাউকে গুঁতিয়ে মেরে ফেলে তবে সেই গরুকে পাথর মেরে মেরে ফেলতে হবে এবং সে গরুর মাংস কেউ খাবে না। মালিকের অবহেলা থাকলে মালিককেও পাথর মেরে হত্যা করতে হবে। তবে মালিকের জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে রক্ষা পাওয়ার পথ আছে, গরুর ক্ষেত্রে সে পথ নেই। গরুকে পাথর মেরে হত্যা করতেই হবে এবং গরুর মাংস কেউ খেতে পারবে না! ঈশ্বর বলছেন: ‘‘যদি কোন গরু গুঁতিয়ে কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোককে মেরে ফেলে তবে পাথর ছুঁড়ে সে গরুটাকে অবশ্যই মেরে ফেলতে হবে। সেই গরুর গোশ্ত কেউ খাবে না এবং গরুর মালিক কোন শাস্তি পাবে না। তবে গরুটার যদি গুঁতানোর অভ্যাস থাকে আর তার মালিককে সাবধান করে দেবার পরেও সে তাকে আটক না রাখে আর সেই গরুটা কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোককে মেরে ফেলে, তবে পাথর ছুঁড়ে সেই গরুটাকে মেরে ফেলতে হবে এবং তার মালিককেও মেরে ফেলতে হবে। কিন্তু যদি মালিকের কাছ থেকে কোন ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয় তবে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে মালিক তার নিজের জীবন রক্ষা করতে পারবে। সেই গরুটা যদি কোন ছেলে বা মেয়েকে গুঁতিয়ে মেরে ফেলে তবে তার বেলায়ও একই নিয়ম খাটবে। কোন গরু যদি কোন গোলাম বা বাঁদীকে গুঁতিয়ে মেরে ফেলে তবে তার মালিককে সেই গরুর মালিক তিনশো ষাট গ্রাম রূপা দেবে, আর সেই গরুটাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলতে হবে।’’ (হিজরত ২১/২৮-৩২)
একটা অবলা পশুকে তার স্বভাবজাত কর্মের জন্য পাথর মেরে হত্যা করলে কি সে তার অপরাধের ভয়াবহতা বুঝতে পারে? এরূপ শাস্তির কারণে অন্যান্য গরু কি তাদের অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করে? গরুটার মাংস না খাওয়ার মধ্যে কি কারো জন্য কোনো কল্যাণ নিহিত আছে?