যাকোব বা ইসরাইলের ন্যায় তাঁর পুত্রদের প্রতিও পক্ষপাতিত্ব প্রকট। বাইবেল বলছে: ‘‘ যে তার সৎমায়ের (father’s wife পিতার স্ত্রীর) সাথে সহবাস করে সে তার পিতাকে অসম্মান করে। তা করলে তাকে এবং তার সৎমাকে হত্যা করতে হবে।’’ (লেবীয় ২০/১১)। যাকোবের পুত্র রূবেন (Rueben) তার পিতার স্ত্রী বিলহা (Bilhah)-র সাথে সহবাস করেন, কিন্তু ঈশ্বর বা তাঁর প্রিয় পুত্র (ইবনুল্লাহ) ও প্রথমজাত পুত্র ইসরাইল রুবেন ও বিলহা কাউকেই হত্যা করেননি। তিনি খবরটা শুনে কোনো প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করলেন না। (আদিপুস্তক ৩৫/২২) সারাজীবন কোনো প্রতিবাদও করেননি। শুধু মৃত্যুর আগে রূবেনকে বলেন: ‘‘রূবেন, তুমি আমার বড় ছেলে.... তোমার সেই উঁচু স্থান আর থাকবে না। আমার স্ত্রীর কাছে যেয়ে তুমি আমার বিছানা অপবিত্র করেছ।’’ (আদিপুস্তক ৪৯/৩-৪, মো.-০৬) এতটুকুতেই শেষ!
বাইবেল বলছে: ‘‘যদি কেউ তার ছেলের স্ত্রীর সংগে সহবাস করে তবে তাদের দু’জনকেই হত্যা করতে হবে।’’ (লেবীয় ২০/১২) কিন্তু আমরা দেখছি যে, ইসরাইলের পুত্র এহূদা/যিহূদা নিজের পুত্রবধুর সাথে ব্যভিচার করলেন, কিন্তু ঈশ্বর বা তাঁর প্রথমপুত্র ইসরাইল কেউই যিহূদা ও তামরকে হত্যা করলেন না। উপরন্তু তাদেরকে সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রদান করে ঈশ্বরের পুত্রদের দাদা-দাদী হওয়ার ব্যবস্থা করলেন। দাউদ, শলোমন ও যীশু- ঈশ্বরের এ তিন পুত্র বা তিন ‘ইবনুল্লাহ’ সকলেই যিহূদা ও তামরের বংশধর!