লূক ১/৩৫ শ্লোকটা কিং জেমস ভার্শনে নিম্নরূপ: “that holy thing which shall be born of thee shall be called the son of God” ‘‘এই কারণ, যে পবিত্র সন্তান তোমার থেকে জন্মাবেন তাঁকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে।’’
প্রাচীন পাণ্ডুলিপিগুলোর ভিত্তিতে বাইবেল বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে, ‘তোমার হইতে’ শব্দদুটো সংযোজিত। এজন্য রিভাইজড স্টান্ডার্ড ভার্শনে তা বাদ দেওয়া হয়েছে: “therefore the child to be born will be called holy, the Son of God” ‘‘এইজন্য যে সন্তান জন্মাবেন তাঁকে পবিত্র, ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে।’’
এ সংযোজনের একটা ধর্মতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট ছিল। খ্রিষ্টধর্মের মূল সমস্যা যীশুর ঈশ্বরত্বের সাথে মানবত্বের সমন্বয় এবং যীশুর ঈশ্বরতেবর সাথে ঈশ্বরের একত্বের সমন্বয়। খ্রিষ্টধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে যীশু একইসাথে একজন রক্তমাংসের মানুষ এবং ঈশ্বর। রক্তমাংসের মানুষ যীশুর সাথে ঈশ্বরের তিন ব্যক্তির এক ব্যক্তি ‘পুত্র’ অথবা ‘বাক্য’ সংমিশ্রিত হয়ে যীশু মূর্তিমান বা রক্তমাংসে প্রকাশিত ঈশ্বরে পরিণত হন। এ সংমিশ্রণের পরে তাঁর মধ্যে কি মানবীয় ও ঐশ্বরিক দুটো সত্তাই বিদ্যমান ছিল না একটা সত্তা বিদ্যমান ছিল তা নিয়ে তৃতীয় খ্রিষ্টীয় শতক থেকেই খ্রিষ্টানরা তীব্র মতভেদ ও বিভক্তিতে নিপতিত হন। পাঠক ইন্টারনেটে, উইকিপিডিয়ায় বা কোনো বিশ্বকোষে Eutychian, Eutyches, Monophysite, Monophysitism, Dyophysite, Council of Chalcedon, Creed of Chalcedon, Nestorianism ইত্যাদি প্রবন্ধ পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বাইবেল বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, দ্বিসত্তাবাদীরা একসত্তাবাদীদের মত খণ্ডনের স্বার্থে ‘তোমার থেকে’ শব্দদুটো সংযোজন করেন, যেন যীশু তাঁর মাতার থেকে মানবীয় সত্তা লাভ করেন বলে প্রমাণ করা যায়।