লূক লেখেছেন, যীশু বলেন: ‘‘আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, ইলিয়াসের সময় যখন তিন বৎসর ছয় মাস পর্যন্ত আসমান রুদ্ধ ছিল ও সারা দেশে মহা দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয়েছিল ...।’’ (লূক ৪/২৫, মো.-১৩)
ইয়াকুব তাঁর পত্রে লেখেছেন: ‘‘ইলিয়াস আমাদের মত সুখণ্ডদুঃখভোগী মানুষ ছিলেন; আর তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে মুনাজাত করলেন, যেন বৃষ্টি না হয় এবং তিন বছর ছয় মাস ভূমিতে বৃষ্টি হয়নি।’’ (যাকোব/ ইয়াকুব ৫/১৭, মো.-১৩)
এ অনাবৃষ্টির কথা ১ বাদশাহনামা/ রাজাবলির ১৭ ও ১৮ অধ্যায়ে রয়েছে, তবে বৃষ্টি হয়েছিল তিন বছর ছয় মাস পরে নয়, বরং তৃতীয় বছরেই: ‘‘অনেক দিনের পরে, বৃষ্টি না হওয়ার তৃতীয় বছরে, ইলিয়াসের কাছে মাবুদের এই কালাম উপস্থিত হল, তুমি গিয়ে আহাবকে দেখা দেও, পরে আমি ভূতলে বৃষ্টি প্রেরণ করব।’’ (১ বাদশাহনামা/ রাজাবলি ১৮/১, ৪৫, মো.-১৩) তখনই এলিয় আহাবের সঙ্গে দেখা করলেন ও কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে বৃষ্টিপাত শুরু হল।
এ থেকে আমরা দেখছি যে, প্রথম খ্রিষ্টীয় শতকে মানুষের মধ্যে প্রচলিত ছিল যে, এলিয়ের অনাবৃষ্টি সাড়ে তিন বছর স্থায়ী ছিল। এ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতে লূকের ও যাকোবের লেখক ভুলক্রমে ১ রাজাবলির তথ্য বিকৃত করেছেন।