তলোয়ার বা অস্ত্রধারণ সম্পর্কে বাইবেলের নির্দেশনা পরস্পর বিরোধী। কোথাও তলোয়ার (sword) না থাকলে জামা-চাদর বিক্রয় করে হলেও তা কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও বলা হয়েছে যে, তলোয়ার যে ধরে সে তলোয়ারেই মরে। উভয় নির্দেশ একত্রে অর্থ হয় যে, প্রত্যেক খ্রিষ্টানকে তলোয়ার ধরতেই হবে, না থাকলে চাদর বেঁচে কিনতে হবে এবং তলোয়ার ধরার কারণে প্রত্যেক খ্রিষ্টানকে তার আঘাতেই মরতে হবে। শুধু তাই নয়! যীশুর বক্তব্য অনুসারে স্বয়ং যীশু ও ঈশ্বরকেও তলোয়ারের আঘাতেই মরতে হবে! কারণ ঈশ্বর এবং যীশু উভয়েই ঘোষণা দিয়েছেন যে, তাঁরা তলোয়ার ধরেছেন। নিম্নের উদ্ধৃতিগুলো দেখুন:
(ক) যীশু বলেন: ‘‘and he that hath no sword, let him sell his garment, and buy one: যার তলোয়ার নেই সে তার চাদর বিক্রি করে একটি কিনুক’’। কিতাবুল মোকাদ্দস-২০০৬: ‘‘যার ছোরা নেই সে তার চাদর বিক্রী করে একটি ছোরা কিনুক।’’ কিতাবুল মোকাদ্দস-২০১৩: ‘‘যার নেই সে তার কোর্তা বিক্রি করে তলোয়ার ক্রয় করুক।’’ জুবিলী বাইবেল: ‘‘যার খড়গ নেই সে নিজের চাদর বিক্রি করে একটা কিনে নিক।’’ (লূক ২২/৩৬)
(খ) যীশু আরো বলেন: ‘‘মনে করো না যে, আমি দুনিয়াতে শান্তি দিতে এসেছি; শান্তি দিতে আসি নি, কিন্তু তলোয়ার (the sword) দিতে এসেছি।’’ (মথি ১০/৩৪, মো.-১৩)
(গ) তলোয়ার ধরতেই হবে; যে ব্যক্তি তলোয়ার ব্যবহার করে না সে অভিশপ্ত। ‘‘Cursed be he that doeth the work of the LORD deceitfully, and cursed be he that keepeth back his sword from blood’’: ‘‘বদদোয়াগ্রস্ত হোক হোক সেই ব্যক্তি, যে শিথিলভাবে মাবুদের কাজ করে; বদদোয়াগ্রস্ত হোক সেই ব্যক্তি, যে তার তলোয়ারকে রক্তপাত করতে বারণ করে।’’ (যিরমিয়/ ইয়ারমিয়া ৪৮/১০, মো.-১৩)। মো.-০৬: ‘‘যে তার তলোয়ারকে রক্তপাত করতে দেয় না তার উপর বদদোয়া পড়ক।’’
(ঘ) ঈশ্বর তলোয়ার ধরেছেন: ‘‘তাতে সমস্ত প্রাণী জানবে যে, আমি মাবুদ কোষ থেকে আমার তলোয়ার বের করেছি, তা আর ফিরবে না।’’ (ইহিস্কেল ২১/৫, মো.-১৩)
(ঙ) ঈশ্বর বলেন: ‘‘আমি নিয়মলঙ্ঘনের প্রতিফল দিবার জন্য তোমাদের উপর খড়গ আনিব (I will bring a sword upon you) (লেবীয় ২৬/২৫)।
(চ) যীশু বলেন: ‘‘যেসব লোক তলোয়ার ধারণ করে, তারা তলোয়ার দ্বারা বিনষ্ট হবে। (all they that take the sword shall perish with the sword)’’ (মথি ২৬/৫২, মো.-১৩)