আমরা দেখি যে, সংকলনের এ বিবর্তনে গ্রহণ ও বর্জনের ক্ষেত্রে মূলত পছন্দ বা প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসঙ্গিক যুক্তির উপর নির্ভর করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় খ্রিষ্টীয় শতকে যীশু ও তাঁর শিষ্যদের নামে কয়েকশত পুস্তক প্রচারিত হয়। দ্বিতীয় শতকের মাঝামাঝি থেকে চতুর্থ শতক পর্যন্ত এগুলো গ্রহণ বা বর্জনের ধারা চলতে থাকে। উইকিপিডিয়ায় Development of the New Testament canon এবং এ জাতীয় যে কোনো গ্রন্থ বা প্রবন্ধ পাঠ করলে পাঠক দেখবেন যে, মার্সিওন (Marcion of Sinope: 165 CE), আরিয়ানুস (Irenaeus: 102 CE) এবং পরবর্তী ধর্মগুরুরা নতুন নিয়মের গ্রন্থগুলো নির্ধারণ, গ্রহণ বা বর্জনের জন্য অনেক যুক্তি দিয়েছেন, কিন্তু কোথাও দাবি করেননি যে, তিনি অমুক পুস্তককে বিশুদ্ধ বলে গ্রহণ করছেন কারণ তিনি এগুলোর মূল লেখকের বা তার কোনো শিষ্যের লেখা পাণ্ডুলিপি দেখেছেন বা পড়েছেন। আরিয়ানূস দাবি করেছেন যে, পৃথিবীর চার কোণ, বায়ু চার প্রকার, ঈশ্বরের সিংহাসনের বাহক চার জন, কাজেই ইঞ্জিল চারটার বেশি বা কম হতে পারে না। কিন্তু তিনি দাবি করেননি যে, এ চারটা ইঞ্জিলের লেখকদের লেখা পাণ্ডুলিপিগুলো বিদ্যমান বা বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত, কাজেই এগুলো গ্রহণ করতে হবে আর অমুক ইঞ্জিল বা পত্রের মূল পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় না, কাজেই তা গ্রহণ করা যাবে না।