ঈমানের অন্যতম বিষয় আল্লাহর রাসূলগণে বিশ্বাস করা। অর্থাৎ এ বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ যুগে-যুগে মানব জাতির সঠিক পথের দিশা দানের জন্য মানুষদের মধ্য থেকে অসংখ্য মানুষকে মনোনীত করে তাঁদেরকে তাঁর বাণী দান করেন এবং মানুষদেরকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবানের দায়িত্ব তাঁদেরকে দান করেন। এরা সবাই মহান চরিত্রের অধিকারী ও কল্যাণময় মানুষ ছিলেন। এরা সবাই তাঁদের দায়িত্ব যথাযত পালন করেন। এদের অধিকাংশের নাম বা বিবরণ আমরা জানিনা। শুধু যাদের নাম কুরআন কারীমে উল্লেখ করা হয়েছে তাঁদেরকে আমরা নির্দিষ্টভাবে নবী বা রাসূলরূপে বিশ্বাস করি। অন্য কাউকে আমরা নিশ্চিতরূপে আল্লাহর রাসূল বলে মনে করতে পারিনা, যদিও আমরা বিশ্বাস করি যে, সকল যুগে সকল দেশে আল্লাহ নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন। আমরা এদের সবাইকে বিশ্বাস করি, শ্রদ্ধা করি এবং ভালবাসি। আর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট নবী মুহাম্মদ (ﷺ)-এর আমরা অনুসরণ করি এবং তাঁর শরীয়ত মত জীবন পরিচালনা করি। আমরা এ অধ্যায়ে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর রিসালাতের প্রতি ঈমানের অর্থ আলোচনা করব। পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা ঈমানের অবশিষ্ট রুকনগুলি আলোচনা প্রসঙ্গে অন্যান্য নবী ও রাসূলের প্রতি ঈমানের অর্থ আলোচনা করব।
৩. ১. রিসালাতের সাক্ষ্য
৩. ১. ১. শাহাদাতের তিনটি শব্দ
আমরা দেখেছি যে, শাহাদাতাইনের দ্বিতীয় অংশে (মুহাম্মাদান আব্দুল্লাহ ওয়ারাসূলুহু) বলে সাক্ষ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে তিনটি শব্দ আছে: মুহাম্মাদ, আবদ ও রাসূল। রিসালাতের বিশ্বাসের অর্থ আলোচনা করার আগে আমরা এই তিনটি শব্দের অর্থ ও ব্যাখ্যা অনুধাবনের চেষ্টা করব।