ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
মানহাজ (আল-আজবিবাতুল মুফীদাহ) নিত্য নতুন মানহাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উপকারী জবাব শাইখ ড. ছলিহ ইবনে ফাওযান আল ফাওযান
প্রশ্ন-১০৪ : মোটেও ইলম অর্জন করেনি এমন ব্যক্তি যারা দাওয়াত প্রদানের উদ্দেশ্যে সউদী আরবের বাইরে যায় এবং তারা অন্যদেরকে বের হওয়ার প্রতি উৎসাহিত করে। তারা অদ্ভূত সব শ্লোগানের বুলি আওড়ায় এবং দাবি করে ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে দাওয়াত প্রদানের উদ্দেশ্যে বের হয় আল্লাহ তার প্রতি ইলহাম (গোপনে ইলম প্রদান) করেন। বরং তারা দাবি করে যে দাওয়াত প্রদানের জন্য ইলম কোন মৌলিক শর্ত নয়। শায়খ আপনি অবগত আছেন, যে ব্যক্তি সউদী আরব থেকে বাইরে যায় সে বিভিন্ন মাযহাব-মতবাদ ও দীনের সম্মুখীন হয় এবং তার নিকট অনেক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। শায়খ আপনি কি মনে করেন না যে, আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াতী কাজে বের হওয়ার জন্য অস্ত্র (ইলম) আবশ্যক যাতে লোকজনের মুখোমুখি দাঁড়াতে পারে। বিশেষত পূর্ব এশিয়ায় যেখানের লোকেরা মুজাদ্দিদুদ দাওয়াহ শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব (রহ.) এর দাওয়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে থাকে। আমি আমার প্রশ্নের উত্তর চাচ্ছি যাতে সকলে জানতে পারে

উত্তর : ফি সাবিলিল্লাহ বা আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া বলতে তারা যা বুঝায় এটা আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার প্রকৃত অর্থ হলো জিহাদে বের হওয়া। তারা তাদের পথে বের হওয়াকে যে ফী সাবীলিল্লাহ বলে থাকে এটা বিদআত। কোন সালাফে সালেহীন থেকে এর কোন প্রমাণ নেই।[1] আলিম ব্যক্তির জন্য আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত ব্যতীত অন্য কোনও জামাতের শর্তরোপ করা এবং চল্লিশ দিনের বানোয়াট রীতি ছাড়া যে যার সাধ্য-সামর্থ অনুযায়ী আল্লাহর পথে আহবান করার জন্য বের হয় তাহলে তা জায়েয হবে।

এমনিভাবে দাঈর জন্য আলিম হওয়া ওয়াজিব। কোন মুর্খ ব্যক্তির জন্য দাঈ হওয়া জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

{ قُلْ هَذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ عَلَى بَصِيرَةٍ }

বল, এটা আমার পথ, আমি জেনে-বুঝে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেই। (সূরা ইউসুফ আয়াত নং ১০৮)

অর্থাৎ ইলমের ভিত্তিতে হতে হবে। কেননা প্রত্যেক দাঈর জন্য যে পথে আহবান করছে সে পথ সংক্রান্ত বিষয়ের মুস্তাহাব, হারাম, মাকরুহ ইত্যাদি সম্পর্কে জানা ওয়াজিব। এমনিভাবে আরো ওয়াজিব হলো শিরক, মা‘ছিয়্যাত, কুফুরী, ফুসুক্বী এবং অবাধ্যচরণ সম্পর্কে জানা এবং অশ্লীল কাজের স্তর ও তার পদ্ধতি সম্পর্কে জানা।

তারা তাদের পথে বের হওয়ার জন্য ছাত্রদেরকে যে ব্যস্ত করে এটা একটা বাতিল কাজ। কেননা ছাত্রদের জন্য ইলম অন্বেষণ করা ফারদ্ব। আর পড়াশোনা ছাড়া ইলম অর্জিত হতে পারে না। ইলহাম দ্বারা ইলম অর্জিত হতে পারে না।এটা মূলত ভ্রষ্ট সুফীদের পদ্ধতি। কেননা ইলম ছাড়া আমল করা ভ্রষ্টতা এবং পড়াশোনা ব্যতিরেকে অন্য কোন কাজের মাধ্যমে ইলম অর্জিত হওয়ার আশা পোষণ করা ভুল।


[1]. মূলকথা হলো তাবলীগ জামাত একটি বিদাতী ফিরকা। তাদের সাথে বের হওয়া ফি সাবিলিল্লাহ তে বের হওয়ার অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং তা হলো ইলিয়াসের পথে বের হওয়া। (ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, আব্দুর রাযযাক আফীফী ১/১৭৪)।