কমপক্ষে এক রাআত পেলেই জামাত পাওয়া গেল বলে গণ্য হবে। (বুখারী: ৫৮০) আর ইমামের সাথে রুকূ ধরতে পারলে ঐ রাআতটি পেয়ে গেল। (বুখারী: ৭৮৩, আবু দাউদ: ৬৮৪) আর রুকূ ধরতে না পারলে অর্থাৎ ইমাম রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে ফেললে ঐ রাকআতটি চলে গেল; ফউত হয়ে গেল। এ ব্যাপারে চার মাযহাবের সকলেই একমত। কিন্তু কেউ যদি এক রাকআতও না পায়, কেবল জামাআতের অংশবিশেষ পায় বা আত্তাহিয়াতুর বৈঠক পায় তবে তার জামাত ধরা হলো না। তবে তার উযরের কারণে এবং জামাত ধরার সদিচ্ছার কারণে তিনি জামাআতের সাওয়াব পেয়ে যাবে। (আবু দাউদ: ৫৬৪) তাছাড়া যে ব্যক্তি নিয়মিত জামাআতে সালাত আদায় করে সে ব্যক্তি যদি রোগের কারণে বা সফরে থাকার কারণে জামাত ধরতে না পারে তবুও জামাআতের সাওয়াব পেয়ে যাবে (বুখারী: ২৯৯৬)। এভাবে যেকোন যৌক্তিক কারণে জামাত তরক হলে তারাও জামাআতের সাওয়াব পেতে থাকবেন। (দেখুন বুখারী: ৪৪২৩)।