১. টয়লেটে প্রবেশের সময় বাম পা আগে দিয়ে বলবে - “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট নাপাক জিন ও মহিলার অনিষ্ট হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” (বুখারী: ১৪২) আর বের হওয়ার সময় ডান পা আগে দিয়ে বলবে, গুফ্রানাকা “(হে আল্লাহ!) আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।” (আবু দাউদ: ৩০)
২. মাটিতে বসার আগে কাপড় না উঠানো, (আবু দাউদ: ১৪)।
৩. জায়গাটি খোলামেলা হলে একটু দূরে চলে যাওয়া এবং পর্দা করে বসা। (আবু দাউদ: ২)
৪. বসে পেশাব করা, একান্ত অপরাগতায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব জায়েয। বসার জায়গা না পাওয়ায় রাসূলুল্লাহ (স) জীবনে একবার মাত্র দাঁড়িয়ে পেশাব করেছিলেন । (তিরমিযী: ১৩)
৫. প্রথমে ঢিলাকুলুখ ও পরে পানি ব্যবহার করা। এ বিষয়ে ৩টি স্তর রয়েছে:
(ক) কেউ যদি পানি ছাড়া শুধু ঢিলাকুলুখ ব্যবহার করে তাতেই পবিত্র হয়ে যাবে।
(খ) অথবা যদি কুলুখ ছাড়া শুধুমাত্র পানি দিয়ে পরিষ্কার করে তাও জায়েয। তবে পানির ব্যবহার কুলুখ ব্যবহারের চেয়ে উত্তম।
(গ) তৃতীয় স্তর হলো প্রথমে চিলাকুলুখ ও পরে পানি ব্যবহার করা । এটি হলো সর্বোত্তম পন্থা। (বুখারী: ১৫০ ও মুসলিম: ২৭১ নং হাদীস থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়।)
৬. বেজোড় সংখ্যক ঢিলা ব্যবহার করা। (বুখারী: ১৬২) ৭. কমপক্ষে ৩টি ঢিলা ব্যবহার করা। (মুসলিম: ২৬২)| প্রয়োজন হলে ৫ বা ৭টি ঢিলাও ব্যবহার করা যেতে পারে ।
৮. নরম মাটি ও নিচু ভূমিতে ইস্তিঞ্জা করা (ফাতহুল বারী- ১/৩১৮)। শক্ত মাটিতে পেশাব না করা, এতে গায়ে ছিটাফুটা এসে যেতে পারে।
৯. টয়লেটে লম্বা সময় না থাকা (শরহে মুমতি- ১/১০১)। যেহেতু ঐ সময় আল্লাহর নাম নেওয়া যায় না, তাই ঐখানে বেশি সময় কাটানো উচিত নয়।
১০. ইস্তিঞ্জা শেষে বাম হাত প্রথমে মাটিতে ঘষে পরে ধুয়ে ফেলা । (আবূ দাউদ: ৪৫)
১১. সবশেষে লজ্জাস্থানে কাপড়ের উপরিভাগে অল্প করে কিছু পানি ছিটিয়ে দেওয়া। (আবূ দাউদ: ১৬৬)