নিদ্রাহারা বন্ধু আমার! ধোকা খেও না অতিরঞ্জিত উপন্যাস ও ফিল্মী-দুনিয়ার রোমান্টিক বিভিন্ন প্রেম-কাহিনী পড়ে ও শুনে। 'প্রেম অনির্বাণ’ এ কথা সত্য হলেও তোমার প্রেম যে। ঐরূপ বিরল ও রোমান্টিক হবে তার নিশ্চয়তা কোথায়? তুমি তো পুরুষ। পুরুষের মত মনকে সবল কর এবং নিজেকে ‘হিরো’ করার চেষ্টা করো না।
পক্ষান্তরে যদি কোন সুন্দরী তোমাকে অযাচিতভাবে প্রেম নিবেদন করে, তবুও তুমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে এমন ‘ইদুর-মারা কল’-এ পা দিও না। নচেৎ প্রেমিক কবি হওয়ার বদলে নিজের প্রতিভাই হারিয়ে বসবে।
হ্যা, আর ‘ইয়ে করে বিয়ে অর্থাৎ পরিচয় থেকে প্রণয় এবং প্রণয় থেকে পরিণয় হওয়ার কথা ভাবছ? এমন বিবাহকে পছন্দ করে বিবাহ' নাম দিলেও আসলে তা হল ইউরোপীয় কোটশীপ’ প্রথা। যা কোন মুসলিমের জন্য বৈধ ও শোভনীয় নয়। সূদের নাম পরিবর্তন করে লভ্যাংশ’ বললে যেমন সূদ হালাল হয় না, ঠিক তেমনি বিয়ের আগে অবৈধ প্রণয়ে ফেঁসে, চোখ, হাত, জিভ, পা ও যৌনাঙ্গের ব্যভিচার করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিয়ে করাকে ‘লাভ-ম্যারেজ’ বা ‘পছন্দ করে বিয়ে নাম দিলে তা হালাল হয়ে যায় না। ইসলাম পছন্দ করে বিয়েকে বিধিবদ্ধ করেছে এবং বিয়ের আগে কনেকে একবার দেখে নিতে অনুমতি দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের আগে হৃদয়ের আদান-প্রদানের মাধ্যমে প্রেম সৃষ্টির জন্য বরকনের হাতে ডোর ছেড়ে দেয়নি। যেমন উভয়ের মধ্যে কারো তার বিবাহে অসম্মতি থাকলে জোরপূর্বক বিবাহ-বন্ধনকে ইসলাম অনুমোদন ও স্বীকৃতিই দেয় না।
আসল কথা হল, আধুনিক যুগের পাশ্চাত্যের অভিশপ্ত ছায়া অনেক মুসলিম যুবক-যুবতীর মাঝেও বহু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও সিনেমা-জগতের মাধ্যমে এসে পড়েছে। তাই পশ্চিমী কায়দায় তারা নিজেদের সংসার গড়ে তোলার পূর্বে এমন যৌনাচার ও ভালোবাসাকে একটা বৈধ ও সভ্য ফ্যাশন বলে বরণ করে নিয়েছে। অথচ পাশ্চাত্য সমাজ, যেখানে 'লাভ-ম্যারেজ’ ছাড়া। অভিভাবকদের অভিজ্ঞতালব্ধ উপায়ে এবং শরয়ী দূরদর্শিতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিবাহ মোটেই হয় না বললেই চলে। যৌন-স্বাধীনতার সে লাগামছাড়া দেশে দাম্পত্য-জীবন যে কত তিক্ত ও জ্বালাময়, তা অনেক মানুষেই জানে।
পাশ্চাত্য সভ্যতায় আনুষ্ঠানিক বিবাহ তুলনামূলকভাবে খুবই কম হয়। আর যেটুকু হয় সেটুকু বড় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও দেহ-মন দেওয়া-নেওয়ার পর হয়! বন্ধু-বান্ধবীরূপে বাস করতে করতে ৩৫/৪০ বছর বয়সে পেীছে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কেউ হয়, কেউ হয় না। কেউ টেস্ট করতে করতেই জীবন অতিবাহিত করে ফেলে; পছন্দ আর হয়ে ওঠে না। আমেরিকার এ রকমই এক বরের বয়স ৯৪ এবং কনের বয়স ৯৩ বছর। এই দীর্ঘ প্রায় এক শতাব্দী কাল ধরে বন্ধুত্ব ও এক অপরকে বুঝে নেওয়ার পর তারা এই সেদিন বিবাহিত সংসার-জীবনে প্রবেশ করল। আর তারা এ কথাও প্রকাশ করল যে, তাদের বাসর (?!) রাত ছিল জীবনের সবচেয়ে লম্বা (?) ও মধুরতম রাত! (আয-যিওয়াজ পত্রিকা, এপ্রিল-জুন ১৯৯৮, ২৫পৃঃ)
স্বাধীনতাকামী বন্ধু আমার! এমন নৈতিকতা ও শালীনতা-বর্জিত স্বাধীনতাকে প্রগতি ভেবে বসো না। কারণ, এটাই হল তাদের দুর্গতিময় অধোগতি।
হ্যা, আর কোন অমুসলিম নারীর প্রেমে পড়ে বলো না যে, তুমি তো একজন মানুষকে হেদায়াতের আলো দানের চেষ্টা করছ। বরং হয়তো আসল কথা হল এই যে, তুমি তার প্রেমজালে বন্দী হয়ে পড়েছ। আর তা যদি সত্য হয়, তাহলে মহান প্রভুর নির্দেশ শোন। তিনি বলেন, “মুশরিক নারীগণ ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা তাদেরকে বিবাহ করো না; যদিও তারা তোমাদের নিকট মনোহারিণী হয় তবুও মু'মিন (মুসলিম) দাসী মুশরিক নারী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর।” (সূরা বাকারাহ ২২১ আয়াত) নারী-পুরুষের মাঝে সাম্য প্রতিষ্ঠার যুগে ধর্ষণ অস্বাভাবিক নয়, যেমন অস্বাভাবিক নয় যে কোনও ধরনের রমণীর সাথে ভালোবাসা হয়ে যাওয়া। যা অস্বাভাবিক তা হল, একজন জ্ঞানী ও মুসলিম যুবকের এই প্রমাণ করা যে, পিরীতে মজিল মন, কি বা হাঁড়ি, কি বা ডোম!” বেপর্দা পরিবেশে প্রেম-পিরীত স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু অস্বাভাবিক হল একজন মুসলিম যুবকের বেপর্দা মহিলাকে ভালোবেসে ফেল। সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে প্রেম হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু অস্বাভাবিক হল, মুসলিম দেশেও এমন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান চালু রাখা। বাড়ির দাসীর সঙ্গেও অবৈধ প্রণয় গড়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়। যা অস্বাভাবিক তা হল, মুসলিম পরিবারের এমন ঢিলা তরবিয়ত ও অবজ্ঞাপূর্ণ অভিভাবকত্ব।
কোন নিকটাত্মীয়া যুবতীর সাথেও ভালোবাসা হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হল, একই বাড়িতে এগানা-বেগানার এমন সহাবস্থান।
প্রেম তো হতেই পারে। প্রেম তো এক প্রকার যাদু। কোন প্রকারের মনের মিল বা আকর্ষণ সৃষ্টি হলে এবং প্রবৃত্তির ডোর লাগামহীনভাবে ছেড়ে দিলেই ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। কোন প্রকার ভালো লেগে গেলেই হল। দ্বীন, সম্পদ, রূপ বা বংশ, কারণ যাই হোক না কেন, মনের ভালো লাগা সবার শীর্ষে। ভালো লাগার কাছে বিবেকও হার মেনে যায়। সকল বিচারবিবেচনা বিকল হয়ে পড়ে। কুৎসিত হলেও প্রেমিকের চোখে সেই হয় বিশ্বসুন্দরী। অপরাধ করলেও তার সকল ভুল ফুল স্বরূপ দৃষ্টিগোচর হয়। প্রেম মানুষকে অন্ধ ও বধির করে তোলে। বেহায়া ও নির্লজ্জ করে ফেলে, করে ফেলে অস্থির-চিত্ত ও অর্ধ-পাগল।
‘চেতনেতে অচেতন, প্রেমে টানে যার মন। নদী যখন বর্ষার পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে কানায়-কানায় প্রবাহিত হয়, তখন সে কি খেয়াল রাখতে পারে যে, পানির স্রোত কিভাবে এসে তার বুক পূর্ণ করে দিচ্ছে এবং তার উভয় কূল প্লাবিত করে বয়ে উদ্ধৃঙ্খল অবস্থায় বয়ে যাচ্ছে? নব-যৌবনের হৃদয় যখন কানায়-কানায় ভালোবাসায় ভরে ওঠে, তখন প্রেমিক নিজের আত্ম-সচেতনতার কথা ভুলেই যায়, পরন্তু প্রেমিকারও কত ত্রুটি সে লক্ষ্য করতে পারে না। ফলে দু'তরফা ক্ষতি হয়ে থাকে এমন প্রেম-রোগীর। প্রেম আনে ঔদাস্য ও অজ্ঞানতা। প্রেম করে প্রতিভা নষ্ট।
‘মানবের মনে প্রেম হইলে প্রবল,
বুদ্ধি-জ্ঞান সমুদয় যায় রসাতল।
বাঘের নিকটে কারো খাটে না শক্তি,
প্রেমের হাতেও নর নিরুপায় অতি।
প্রেম যদি জাগে মনে জ্ঞান নাহি রয়,
বিবেকের স্থান তথা নাহিক নিশ্চয়।
ব্যাটের অধীনে যথা চলে সদা বল,
প্রেমের অধীনে তথা প্রেমিক সকল।
কত মানসিক পীড়া এসে বাসা বাঁধে পিরীত-নেশাগ্রস্ত প্রেমিকের মনে। কখনো বা মনের বাঁধনকে এঁটে রাখতে না পেরে এমন আচরণ করে বসে, যা স্বাভাবিক চোখে হাস্যকর। পাগলের মত আচরণ করেও নিজেকে বীর ভাবে। নিজেকে সুপুরুষ ভেবে যারা প্রেম করে না তাদেরকে কাপুরুষ মনে করে। অনেক সময় এমন প্রেমের মজনুকে দেখে মনে হয় যে, তাকে কেউ যাদু করেছে। অনেকে অপরাধ এড়াবার জন্যও এ কথা নিজে বলে থাকে। কিন্তু আসল কথা এই যে, প্রেমের চেয়ে বড় যাদু আর কিছু নেই। অস্বাভাবিক আচরণের জন্য প্রেমের নায়ক লোকের চোখে নিন্দিত হয়। তার বদনাম ছড়িয়ে পড়ে সমাজে। প্রেম-সাধনায় সিদ্ধিলাভ না হলে অনেকে আক্ষেপে ভেঙ্গে পড়ে। অনেক সময় ভাবে মাছ ধরব, অথচ গায়ে কাদা লাগাব না। কিন্তু পরিশেষে সে প্রেমের দলদলে তলিয়ে যায়, নতুবা অন্য কেউ তার গায়ে কাদা ছিটিয়ে দেয়। অবশেষে প্রেমও সাফল্য পায় না। অথচ মাঝখান থেকে শূন্য হাতে পায় শুধু বদনাম আর অপমান।
যে সব প্রতীক প্রতিমার প্রেমে কেটেছে দীর্ঘ দিন,
যাদের জন্য নিন্দিত আমি লোকের চক্ষে হীন।
তুচ্ছে পাত্রে তারাই আমার ডুবিয়েছে খ্যাতি-যশ,
লঘু সঙ্গীত বিকিয়ে আমার সুনাম শুন্যে লীন।
পক্ষান্তরে একজন মুমিনের উচিত নয়, উদাসীন হওয়া, নিজেকে অপদস্থ ও লাঞ্ছিত করা, অবৈধ প্রণয়ে পড়ে অস্বাভাবিক আচরণ করা।
প্রেমে পড়ে প্রেমিক তার দ্বীন ও ঈমানের মত অমূল্য ধনও হারিয়ে বসে অনেক সময়। অবৈধ প্রণয়ের ঐ কুপ্রবৃত্তি মমিনের ঈমানকে দুর্বল করে ফেলে। সত্যই তো, যে হৃদয়ে। অবৈধ নারী-প্রেম সমাসীন থাকে, সে হৃদয়ে পবিত্র আল্লাহর প্রেম কেন বাসা বাঁধবে? তাই একটা বাস্তব কথা এই যে, সাধারণতঃ তারাই বেশী এই অবৈধ নারী-প্রেমে ফেঁসে থাকে, যাদের মনে ততটা অথবা মোটেই আল্লাহ-প্রেম নেই।
‘অনির্বাণ প্রেম’-এর কোন কোন হতভাগা প্রেমিক বেদ্বীন নারীর প্রেমে পড়ে, প্রিয়ার প্রেম ও মনকে জয় করতে গিয়ে নিজের দ্বীন ত্যাগ করে মুর্তাদ্দ হয়ে বসে! যার ফলে দুনিয়াতে। ইসলামী আইনে হত্যাযোগ্য অপরাধ এবং আখেরাতে চিরস্থায়ী দোযখ বাস করার মত পাপে লিপ্ত হয়ে যায়।
প্রেম দ্বীনদার যুবকের হৃদয়কেও ঈমানী চিন্তাধারা ও আল্লাহর যিকর থেকে মগুল করে রাখে। অনেক সময় নামাযগুলিতেও প্রেম ও প্রেমিকার কথা ভাবতে ভাবতে শয়তান তাকে এমন এমন কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, তার নামায অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়ে এবং তার ‘ওঠ-বস করাই সার হয়। প্রেমিক যত তার প্রেমিকার (অবৈধভাবে) কাছে হওয়ার চেষ্টা। করে, ঠিক তত সে আল্লাহ থেকে দুর হতে থাকে। আর এইভাবে আল্লাহর ভয় ও তাকওয়া ধীরে-ধীরে হৃদয় থেকে বিলীন হয়ে যায়।
এই দিক দিয়ে প্রেম’ শয়তানের এমন এক হাতিয়ার যে, তদ্দারা সে সহজে নেক লোকদেরকে ঘায়েল করে থাকে। বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম বেশী করে অথবা তা করার প্রশিক্ষণ নিতে থাকে (যেমন আলেম, মসজিদের ইমাম, তালেবে ইলম প্রভৃতি) তাকে সর্বাগ্রে পরাস্ত ও ক্ষান্ত করার জন্য সে এই মারণাস্ত্র প্রয়োগ করে থাকে। আর এই নারী ও অর্থ-প্রেমের মাধ্যমে ইবলীস মুসলিম সমাজকে তার শ্রদ্ধেয় আলেম সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং আলেম-উলামাকে সমাজের চোখে খাটো ও ঘৃণ্য করতে কৃতার্থ ও পারঙ্গম হয়।
সুতরাং আল্লাহর নিকট আমাদের এই প্রার্থনা যে, তিনি যেন মুসলিম যুব-সমাজকে শয়তানের এমন চক্রান্ত ও কুট-কৌশলের হাত থেকে রক্ষা করেন এবং এমন ইলম দান করেন, যার দ্বারা হৃদয়ে তাকওয়া লাভ হয় ও শয়তান হয় লাঞ্ছিত-পরাভূত। প্রেম হল একটা এমন গোলমেলে ব্যাপার, যার মাধ্যমে মানুষের অনেক কিছুই গোলমাল হয়ে যায়। সুবুদ্ধির মাথা খাওয়া যায়। ভালো ছাত্রের সুবিন্যস্ত পড়াশোনায় তালগোল খেয়ে যায়। কখনো খেয়ো নাকো তালে আর ঘোলে, কখনো ভুলো নাকো টেমনের বোলে’ প্রবাদ ভুলে গিয়ে পরীক্ষায় গোল্লা খেয়ে থাকে। কুঁড়ি অবস্থায় ফুলের মত প্রতিভা জীবন থেকে ঝরে পড়ে। প্রেমের পরশে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়, সুচিন্তার স্থানকে কুচিন্তা এসে জবরদখল করে নেয়। ফলে অধ্যয়ন যায়, উন্নয়ন যায়, রুদ্ধ হয় জ্ঞান শিক্ষার দুয়ার।
অনেকে উন্নতির নাগাল পেয়েও নারীর মায়াজালে ফেঁসে গিয়ে পদ হারায়, চাকুরী হারায়, হারায় অনর্থক বহু ধন-সম্পদ।
ব্যভিচার বা অবৈধ যৌন-মিলন এক মহাপাপ। প্রেম প্রেমিক-প্রেমিকাকে এই পাপে লিপ্ত করায়। যদিও প্রেম ও কামনা দুটি পৃথক জিনিস, তবুও ‘বিয়ে তো করবই' এই আশায় পুঞ্জীভূত কাম চরিতার্থ করে ফেলে। মন দিতে-নিতে গিয়ে দেহ-বিনিময় ঘটে যায় এই সর্বনাশী প্রেমের ফুল-বাগানে। আর সত্য কথা এই যে, বর্তমানে প্রেম বা ভালোবাসা’ বলতে যা বুঝায় এবং অধিকাংশ তাতে যা ঘটে, তা হল ব্যভিচার। প্রেমে সর্বপ্রথম, সর্বশেষ ও আসল যে বাসনা ও আকাঙ্খা থাকে, তা হল যৌনমিলন।
এ ছাড়া যুবক-যুবতীর মাঝে বিবাহের পূর্বে পবিত্র প্রেমের কথা কল্পনাই করা যায় না। এ ধরনের প্রেম সাধারণতঃ কপট হয়ে থাকে। এমন ভালোবাসায় নায়ক-নায়িকার মাঝে কেবল এক প্রকার সুড়সুড়ি’ থাকে। আর তা মিটানোর জন্য উভয়ের মধ্যে থাকে নানা অভিনয় ও ছল-কৌশল। অতঃপর সে সুড়সুড়ি’ শেষ হতেই সব শেষ হয়ে যায়। এই শ্রেণীর প্রেমিক-প্রেমিকা সাধারণতঃ একজনকে পেয়ে সুখী হতে পারে না। আসলে এরা প্রেমিক নয়, লম্পট।