১। আল্লাহ মানুষের জন্য রসূলগণকে প্রেরণ করেছেন এবং তাদেরকে আল্লাহর ইবাদত ও তার একত্ববাদের প্রতি দাওয়াত দিতে আহবান করেছেন। কিন্তু অধিকাংশ জাতি রসূল (সা.)গণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। এবং যে সত্যের প্রতি তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল তা তারা প্রত্যাখ্যান করল। আর সে সত্য ছিল তওহীদ। তাই তাদের পরিণাম ছিল ধ্বংস।
২। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তির অন্তরে অনু পরিমাণ ঔদ্ধত্য থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” অতঃপর তিনি বলেন, “ঔদ্ধত্য হল, সত্য প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে ঘৃণা করা।” (মুসলিম)
অতএব অত্র হাদীসের আলোকে কোন মুমিনের জন্য সত্য এবং উপদেশ প্রত্যাখ্যান করা বৈধ নয়। যাতে সে কাফেরদের অনুরূপ না হয়ে যায় এবং সেই অহংকার ও ঔদ্ধত্যে না পড়ে যায়, যা অহংকারী ও উদ্ধত মানুষকে জান্নাত প্রবেশে বাধা দেয়। কেননা হিকমত ও জ্ঞান মুমিনের হারানো বস্তু, যেখানেই সে তা পায় কুড়িয়ে নেয়।
৩। সত্য ও ন্যায় স্বীকার ও গ্রহণ করা ওয়াজেব তাতে তা যে মানুষ থেকেই হোক না কেন, এমন কি শয়তানের নিকট থেকেও সত্য গ্রহণ করা যায়। হাদীসে বর্ণিত যে, একদা রসূল (সা.) আবু হুরাইরাকে বায়তুল মালের উপর পাহাড়াদার নিযুক্ত করলেন; এক চোর চুরি করতে এলে আবু হুরাইরা তাকে ধরে ফেললেন। চোরটি তার নিকট ক্ষমার আশা ব্যক্ত এবং নিজ দরিদ্রতার কথা প্রকাশ করলে তিনি তাকে ছেড়ে দিলেন। কিন্তু চোরটি দ্বিতীয়বার ও তৃতীয়বার চুরি করতে এল। প্রত্যেকবার আবু হুরাইরা তাকে ধরে বললেন, তোমাকে রসূলের দরবারে পেশ করবই।” চোরটি বলল, আমাকে ছেড়ে দাও, আমি তোমাকে কুরআনের এমন একটি আয়াত শিখিয়ে দেব, যা পাঠ করলে শয়তান তোমার নিকটবর্তী হবে না। আবু হুরাইরা বললেন, ‘তা কোন আয়াত? চোরটি বলল, ‘আয়াতুল কুরসী। আবু হুরাইরা তাকে ছেড়ে দিলেন। অতঃপর তার দেখা এই ঘটনা রসূল (সা.)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বললেন, “তুমি জান কি, কে এ কথা বলেছে? ও ছিল শয়তান। সে বলেছে সত্যই অথচ নিজে ভীষণ মিথুক।” (বুখারী)