১। ফির্কাহ নাজিয়াহ মানুষের মধ্যে (প্রবাসীর মত অসহায়) মুষ্টিমেয়। যাদের জন্য আল্লাহর রসূল (সা.) দুআ করে বলেছেন, “শুভ সংবাদ ঐ (প্রবাসীর মত অসহায়) মুষ্টিমেয় লোকেদের জন্য; যারা বহু অসৎ লোকের মাঝে অল্পসংখ্যক সৎলোক। তাদের অনুগত লোকের চেয়ে অবাধ্য লোকের সংখ্যা অধিক।” (সহীহ, এটিকে আহমদ বর্ণনা করেছেন।)
এই দলের অনুসারীদের সম্পর্কে কুরআন কারীম সংবাদ দিয়েছে, এদের প্রশংসা করে কুরআন বলে,
وَقَلِيلٌ مِّنْ عِبَادِيَ الشَّكُورُ
অর্থাৎ, আমার বান্দাগণের মধ্যে অল্পসংখ্যকই লোক কৃতজ্ঞ। (সূরা সাবা ১৩ আয়াত)
২। ফির্কাহ নাজিয়াহর শত্রু বহু মানুষ। লোকেরা তাদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়। তাদেরকে মন্দনাম ও খেতাবে অভিহিত করে থাকে। অবশ্য এ বিষয়ে তাদের আদর্শ ও নমুনা ছিলেন আম্বিয়াগণ; যাদের প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,
وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِينَ الْإِنسِ وَالْجِنِّ يُوحِي بَعْضُهُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُورًا
(অর্থাৎ, এবং এরপর প্রত্যেক নবীর জন্য শয়তান মানব ও দানবকে শত্রু করেছি যারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররোচিত করে থাকে ---। (সূরা আনআম ১১২ আয়াত)
আল্লাহর রসূল (সা.) যখন তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট তওহীদের দাওয়াত পেশ করলেন তখন তারা তাকে বলেছিল, 'মিথ্যুক যাদুকর। অথচ এর পূর্বে তারা তাঁকে ‘সত্যবাদী আমানতদার’ বলে আখ্যা করত।
৩। শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায (সউদী আরবের প্রধান মুফতী) ফির্কাহ নাজিয়াহ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেন, “সালাফীগণই ফির্কাহ নাজিয়াহ; এবং তারা যারা সলফে সালেহ (রসূল ও সাহাবা)র মতাদর্শে চলে।
এগুলি ফির্কাহ নাজিয়াহর অল্প কিছু নীতি ও নিদর্শন। এবারে এই পুস্তিকার আগামী অধ্যায়গুলিতে ফির্কাহ নাজিয়াহর আকীদা ও বিশ্বাস সম্পর্কে আলোচনা করব; যে ফির্কাহর আর এক নাম ‘তায়েফাহ মনসূরাহ’ (সাহায্য প্রাপ্ত দল)। যাতে আমরা সকলে তার আকীদায় বিশ্বাসী হতে পারি। ইন শাআল্লাহ।