আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা বলেন
قُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ
বল, প্রশংসা তো কেবল আল্লাহর।[১]
তিনি আরও বলেছেন,
وَإِن تَعُدُّوا نِعْمَةَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا
যদি আল্লাহ্র নিআমাত তোমরা শুনতে চাও তা গুনে শেষ করতে পারবে না।[২]
আবু যার (রাঃ) থেকে সহীহ্ আল বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) যখন ঘুমাতে বিছানায় যেতেন তখন বলতেন,
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
“হে আল্লাহ্ আপনার নামে মৃত্যুবরণ করবো এবং আপনার নামে বেঁচে উঠব।'
আবার যখন ঘুম থেকে জেগে উঠতেন, তখন বলতেন,
الحمد لله الذي أحياني بعدما أماتني وإليه النشور
সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি মৃত্যুর পর পুনরায় আমাকে জীবিত করেছেন। তাঁর দিকেই একদিন ফিরে যেতে হবে।[৩]
সহীহ মুসলিমে সুহাইব (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
عَجَبًا لِأَمْرِ الْمُؤْمِنِ إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ وَلَيْسَ ذَاكَ لِأَحَدٍ إِلَّا لِلْمُؤْمِنِ إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ
মুমিনের ব্যাপারটি খুবই আশ্চর্যজনক। সমস্ত কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মুমিন ছাড়া আর কেউ এ কল্যাণ লাভ করতে পারে না। সচ্ছলতার সময় শুকরিয়া জ্ঞাপন করে- এটি তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। আর অসচ্ছলতায় ধৈর্য ধারণ করে, এও তার জন্য কল্যাণকর।[৪]
আবুল হাসান আল কিন্দি বলেছেন,
সুখ স্বাচ্ছন্দে রয়েছো মাতি সবকিছু ভুলে যেয়ে
নাফরমানীর কারণে কত নি'আমাত চলে গেছে দেখনি তা চেয়ে।
[২]. সূরা ইবরাহীম, আয়াত : ৩৪।
[৩]. সহীহ আল বুখারী, দুআ অধ্যায়, ঘুমানোর সময় যা পড়তে হবে' শিরোনাম। সামান্য শাব্দিক পার্থক্য সহকারে সহীহ্ আল বুখারীতে হুযাইফা (রাঃ) থেকেও এরকম হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
[৪]. সহীহ মুসলিম, যুহদ- দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণহীনতা’ অধ্যায় (হাদীস-৭২২৯)।