ঈমানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সিয়াম বা রোযা। সিয়ামের ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা ইরশাদ করেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে। যেভাবে ফরয করা হয়েছিলো তোমাদের আগেকার লোকদের উপর।[১]
সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,
بني الإسلام على خمسٍ: شهادة أن لا إله إلا الله وأن محمدًا رسول الله، وإقام الصلاة، وإيتاء الزكاة، وحج البيت، وصوم رمضان
‘পাঁচটি বিষয়ের উপর ইসলামের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। ১. আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসূল- এ কথার সাক্ষ্য দেয়া, ২. সালাত কায়েম করা, ৩. যাকাত দেয়া, ৪. রমযানের সিয়াম পালন করা এবং ৫. বাইতুল্লাহয় হাজ্জ করা।”[২]
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) বলেছেন,
كل عمل ابن آدم يضاعف الحسنة بعشر أمثالها إلى سبع مائة ضعف. قال الله تعالى: إلا الصوم. فإنه لي، وأنا أجزي به
‘আদম সন্তানের প্রতিটি নেক কাজের বিনিময় দশ গুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়। আল্লাহ আযযা ও জাল্লা বলেন- “রোযার বিনিময় ছাড়া। কারণ রোযা আমার জন্য তাই আমিই তার বিনিময়।
আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত অন্য হাদীসে বলা হয়েছে,
لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ: فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ، وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ
‘রোযাদারের জন্য দুটো খুশীর সময় রয়েছে। একটি যখন সে ইফতার করে (রোযাপূর্ণ করে), আরেকটি যখন সে তার রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে।
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে,
لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْك
রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও প্রিয়।
আরও বলা হয়েছে,
الصوم جنة
রোযা হচ্ছে ঢাল।[৩]
[২]. সহীহ্ মুসলিম, ঈমান অধ্যায় (হাদীস-২১)।
[৩]. উপরিউক্ত সবগুলো হাদীস সহীহ মুসলিমের সাওম (বা রোযা) অধ্যায়ের।