চাকুরির জন্য দাড়ি শেভ করা শর্ত দিলে এ চাকুরী করবেন না: শাইখ ইবন বায রহ. বলেন, যদি কাউকে কোনো কোম্পানী বা মালিক এ শর্তে কাজ দেয় যে, দাড়ি শেভ করতে হবে, তাহলে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে এ দাড়ি শেভের শর্তে একমত না হয় এবং এ কাজ না নেয়। কেননা, রিযিকের বহু পথ রয়েছে, এ পথ বন্ধ নয়, বরং সর্বদা খোলা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مَخۡرَجٗا ٢ وَيَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَيۡثُ لَا يَحۡتَسِبُۚ وَمَن يَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِ فَهُوَ حَسۡبُهُۥٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ بَٰلِغُ أَمۡرِهِۦۚ قَدۡ جَعَلَ ٱللَّهُ لِكُلِّ شَيۡءٖ قَدۡرٗا ٣ ﴾ [الطلاق: ٢، ٣]
“আর যে কেউ আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের বা বাঁচার পথ করে দেবেন এবং তিনি তাকে তার ধারণাতীত উৎস হতে দান করবেন রিযিক। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর ইচ্ছে পূরণ করবেনই, অবশ্যই আল্লাহ সবকিছুর জন্য স্থির করেছেন সুনির্দিষ্ট মাত্রা। [সূরা আত-ত্বালাক, আয়াত: ২-৩] যে কোনো কাজে আল্লাহর নাফরমানী করতে হলে সে কাজে যোগদান করবেন না। অন্য যে কোনো হালাল কাজ তালাশ করুন। তাদের সাথে আপনিও গোনাহ ও আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা লংঘনে সহযোগিতা করবেন না। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ﴾ [المائدة: ٢]
“তোমরা নেক কাজ ও তাকওয়ায় পরস্পর সাহায্য করবে এবং গোনাহ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ২]
আল্লাহ আমাদেরকে ও আপনাকে রিযিক উপার্জনের তাওফীক দিন। আর রাষ্ট্রের পরিচালক ও কর্তাগণ যেন আল্লাহকে ভয় করেন। মানুষকে হারাম কাজ করতে বাধ্য না করেন এবং আল্লাহ ও রাসূলের বিধান ও ফায়সালা মাফিক রাষ্ট্র পরিচালনা করেন।
মাজমু‘ ফাতাওয়ায়ে ইবন বাযের ১০ম খণ্ডে আরো রয়েছে, দাড়ি কামানো ও কাটা হারাম, কোনো মুসলিম এটা যেন না করে, আর এ কাজে যেন কেউ কাউকে সহযোগিতা না করে। দাড়ি মুণ্ডিয়ে বা শেভ করে টাকা উপার্জন করা হারাম। আর এটা হারাম খাওয়ার (রোযগারের) সমান। যে এমন কাজ করে সে যেন তাওবা করে এবং এ কাজটি না করে। অতীতে দাড়ি কেটে যা রোজগার করেছে তা যেন সদকা করে দেয়, যেহেতু সে জানতো না। আর ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হয়ে যাও। আল্লাহ তা‘আলা সুদখোরদের বা হারামখোরদেরকে লক্ষ্য করে বলেছেন:
﴿فَمَن جَآءَهُۥ مَوۡعِظَةٞ مِّن رَّبِّهِۦ فَٱنتَهَىٰ فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمۡرُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۖ وَمَنۡ عَادَ فَأُوْلَٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ﴾ [البقرة: ٢٧٥]
“অতএব, যার নিকট তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হলো, তাহলে অতীতে যা হয়েছে তা তারই এবং তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় আরম্ভ করবে, তারাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৭৫]
অনেক মানুষ এ হারামটি করছে বলে আপনি যেন তাদের এমন কু-অভ্যাস দেখে প্রতারিত না হন। (প্রকাশকাল: ১০ জিলকদ, ১৪২৭)।